কলকাতা: এপার বাংলায় ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গি। বর্ষা শুরু হতেই মশাবাহিত রোগের দাপট। এই অবস্থায় কার্যত নাগালের বাইরে ওপার বাংলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে দুশো। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ: সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের। যার মধ্যে অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার জন। গত বছরের হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ২৮০ । যা ২০০০ সালের পর মৃতের সংখ্যায় সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪২৩ জন। ঢাকার হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্তদের জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ রয়েছে।
ডেঙ্গির চিকিৎসায় বিশেষ কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে বর্ষাকালে জুন থেকে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গি হয়। প্রাথমিক পর্যায় রোগ শনাক্ত করা এবং চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহেদ মালেক জানিয়েছেন, "মশাবাহিত রোগ রোধে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সচেতনতা প্রচার সহ মশার লার্ভা মারার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।''
এরাজ্যের কী পরিস্থিতি?
ডেঙ্গির কবলে দুই বাংলা। বছর বছর বর্ষা এলেই ভয়াবহ চেহারা নেয় ডেঙ্গি। এবার কী হবে? শুরুতেই দাপট দেখে আতঙ্ক দানা বাঁধছে সকলের মনে। শহরে ১২ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে কলকাতা পুরসভারও (Kolkata Municipal Corporation)। কারণ, চিকিৎসা-সহ নানা কারণে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এপারে আসেন। গতকাল, কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে,ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে, ঢাকার মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের। রাজ্য সরকারকেও চিঠি দিতে চলেছে পুরসভা। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের, ইমিগ্রেশন চেকিং পয়েন্টে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হচ্ছে। এদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আসা মানেই অসুস্থ এমনটা নয়। সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। দুদিনের মধ্যে জ্বর না কমলেই টেস্ট করা উচিত।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Malda School: ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি নিয়েও বাংলা মাধ্যমে হচ্ছে পড়ানো, স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের