নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী আগুন। আর তাতে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৫ জনের। ঘটনায় নিখোঁজের সংখ্যা ৪০০-র বেশির বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিফিউজি এজেন্সি।
জানা গিয়েছে, কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগে সোমবার বিকেলে। আর তাতে ভস্মীভূত হয়ে যায় ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। বিধ্বংসী আগুনের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঘর বাড়ি। বিধ্বংসী এই আগুনে পুড়ে গিয়েছে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ঘর। মাথার উপর থেকে ছাদ সরে গিয়েছে ৪৫ হাজার মানুষের। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী শাখা জানিয়েছে, আগন লাগার পরই এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে সবাই। আর তাতে আহত হন ৫৬০ জনের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে হতাহতের সংখ্যা তক তা এখনও সরকারিভাবে জানায়নি বাংলাদেশ প্রশাসন। ঢাকার রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী শাখার প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোনও শিবিরে এই ধরনের আগুন লাগার ঘটনা আগে দেখেনি। এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা।
কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন?
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে আগুন লাগে। বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের একটি ঘরেই প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আশেপাশের শিবিরগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা বেরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এরপর খবর দেওয়া হয় দমকলকেও। জানা গিয়েছে, রাতের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
উল্লেখ্য, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। একে একে সেখানে থাকতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা। যেখানে রয়েছে মোট ৩৪টি শিবির। ৮ নম্বর শিবিরে আগন লাগার পরই বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ঘর পুড়ে খাক হয়ে যায়। মৃত্যু হয় বহু মনুষের। হুড়োহুড়িতে নিখোঁজ হয়েছেন অনেকেই। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫ হলেও তা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।