ঢাকা : বাংলাদেশে কোভিডের দাপট বাড়তেই এবার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্যাম্পে লকডাউন জারি করল ঢাকা। আগামী ২৭মে পর্যন্ত এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার কড়াকাড়ি জারি হয়েছে ভিড়ে ঠাসা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে।


বাংলাদেশের কোভিড আক্রান্তের পরিসংখ্যান বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা মুসলিম ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই ৮৬৩জন সংক্রমিত হয়েছে। যাদের মধ্যে মারা গিয়েছে ১৩ জন। বুদ্ধিস্ট মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গা মুসলিমরা। কক্সবাজার জেলা শিবিরে ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে। গত বছর মার্চে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পায় বাংলাদেশ। তার প্রায় ২মাস পরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্যাম্পে।


এ প্রসঙ্গে জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রধান মাহবুবুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন গড়ে ৪৫জন করে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে জেলা প্রশাসনের। কোনওভাবেই রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। কোভিডের চেইন ব্রেক করতে এলাকায় দোকান-বাজার ছাড়াও যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।


বাংলাদেশের কোভিড ট্যালি বলছে, গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৮৫,১৯৮ জন। কোভিডে প্রাণ হারিয়েছে ১২,২৮৪ জন। চলতি বছর করোনার বেলাগাম পরিস্থিতি দেখে লকডাউনের পথে হাঁটে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। এপ্রিল থেকেই দেশে চালু হয় লকডাউন। অফিস, দোকান বাজারের সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় যানচলাচল। কেবল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা ও মেডিক্যাল সংক্রান্ত সার্ভিস চালু রাখা হয়। যদিও গত ১৪মে মুসলিমদের উৎসব ইদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয় লকডাউনে। দোকানপাটের সঙ্গে খুলে দেওয়া হয় যান চলাচল ব্যবস্থা।


সম্প্রতি ভারত থেকে ভ্যাকসিন যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় চিনের কোভিড টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশে যাতে ভ্যাকসিনের অভাব না দেখা যায়, তারজন্য বাইরের দেশগুলির সঙ্গেও কথা বলছে ঢাকা। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্যও কথা চালাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।