ঢাকা : সীমান্তে লাগাতার উস্কানির মধ্য়েই এবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠাল ইউনূস সরকার। 'যুগান্তর' পত্রিকা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা, জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, কোনও বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই বার্তা দিতেই ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডাকা হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সহযোগিতার মনোভাব থাকা প্রয়োজন, বৈঠকের পর মন্তব্য় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার।
সীমান্তে উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতকে পরপর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কাঁটাতারের ফেন্সিং দিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ। আবার, ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠাচ্ছেও বাংলাদেশ ! ৪০ দিনের মাথায়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ফের একবার ডেকে পাঠাল ইউনূস প্রশাসন। এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'যুগান্তর'। সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার ইস্য়ুতে রবিবারই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডাকা হয় বলে দাবি করছে সেদেশের সংবাদপত্র।
যুগান্তর পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় ৩টে নাগাদ, প্রণয় ভার্মাকে বিদেশমন্ত্রকে ঢুকতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা, জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনও বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই বার্তা দিতেই ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডাকা হয়েছে।
পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, 'সীমান্তে চোরাচালান, অপরাধ দমনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অপরাধদমনে সীমান্ত নিরাপত্তায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকতে হবে। তাদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব থাকাও প্রয়োজন।'
যে ইউনূস সরকার নিজের দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্য়াচার বন্ধ করতে পারে না, যে ইউনূস সরকার চোরাচালানকারীদের পাশে দাঁড়ায়..., যে ইউনূস সরকার জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ, সেই বাংলাদেশ কিনা চোখ রাঙানোর চেষ্টা করছে ভারতকে !
এর আগে, আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্য়ুলেটের সামনে বিক্ষোভের ঘটনার জেরে, ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইউনূস সরকার। তার দেড় মাসের মাথায় ফের প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠানো হয় বলে যুগান্তর সূত্রে খবর।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র যুগান্তর পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা, জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছেন, বিগত সরকার অর্থাৎ হাসিনার আমলে সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিল করার ব্য়াপারে, চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এখন প্রশ্ন হল, একদিকে বাংলাদেশ সরকার অন্য়ায় করছে, তার ওপর চোখ রাঙাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ করবে নয়াদিল্লি ?