ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন নিয়ে লাগাতার যে খবর আসছে, তাতে তিক্ততা বেড়েছে আরও। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর রাস্তা খুঁজছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকার। বিশেষ করে আলু-পেঁয়াজ আমদানির অন্য উৎস খুঁজছে তারা। (Bangladesh Situation)


বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' জানিয়েছে, আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের উপর নির্ভর না করে, বিকল্প উপায় খুঁজছে ইউনূস সরকার। এ নিয়ে গত সপ্তাহেই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে রিপোর্ট দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। সেই নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিয়ে বৈঠকও করেছে দেশের সরকার। (Muhammad Yunus)


সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও বিবৃতি দেন দেশের বাণিজ্য সচিব মহঃ সেলিমউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আমদানি অব্যাহত রাখতে বিকল্প উৎসের সন্ধান দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ভারত থেকেই আলু আমদানি করে বাংলাদেশ। পেঁয়াজ আমদানি করে ভারত এবং মায়ানমার থেকে। পরিমাণে কম হলেও, এখন পাকিস্তান, চিন, তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে তারা। ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জার্মানি, মিশর, চিন এবং স্পেন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। পাশাপাশি, আমদানিকৃত পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়াতে কথা চলছে পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গেও। 


ভারতে আলু ও পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামকে এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এক মাস আগে ভারতে পেঁয়াজের দাম প্রতি টনে ৫১০ ডলার থাকলেও, ডিসেম্বরের গোড়ায় তা বেড়ে হয় ৫৬৪ ডলার। অথচ একবছর আগেও ২৪৪ ডলার দাম ছিল। একই ভাবে, একমাস আগে প্রতি টন আলুর দাম ৩২৯ ডলার থাকলেও, ডিসেম্বরের শুরুতে তা ৩৫৫ ডলারে এসে থাকে। এক বছর আগে এই দাম ছিল ২৬৬ ডলার। ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজের রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে জানানো হয়েছে। তাই বিকল্প উপায়ের খোঁজ শুরু হয়েছে। 


অর্থনৈতিক কারণে আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প খোঁজার কথা বলা হলেও, গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবি উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই নিয়ে প্রচার চোখে পড়ে। সেই তালিকায় রয়েছে সাবান,শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, টুথপেস্ট, মিনারেল ওয়াটার, জীবাণুনাশক, গাড়ি-বাইকের টায়ার-সহ শিশুখাদ্যও। এমনকি ভারতীয় পণ্য অনেকে এড়িয়ে চলছেন বলেও সম্প্রতি একিট প্রতিবেদন প্রকাশ করে BBC.