কলকাতা : বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন কি শেষ হবে না ? চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার! তাঁর আইনজীবীকে মারধর, হিন্দু মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপককে প্রহার, হিন্দুদের ঘর-বাড়িতে আগুন, মন্দিরে ভাঙচুর...একের পর এক ঘটনায় ত্রস্ত ওপার বাংলার সংখ্যালঘুরা। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যখন ভারত-বাংলাদেশে দুই সীমান্তেই তৎপরতা বেড়েছে যথাক্রমে BSF ও BDR-এর, তখন আরও একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। তা হল ইউনূস জমানায় জেল থেকে মুক্ত হওয়া জঙ্গিদের নিয়ে। গত ৪ মাসে জেল থেকে মুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকজন কুখ্য়াত দুষ্কৃতীও। ছাত্র-আন্দোলনের সময় জেল ভেঙে পালায় বহু বন্দি। এখনও ধরা পড়েনি বহু। এর পাশাপাশি ছাত্র-আন্দোলনের সময় বহু আগ্নেয়াস্ত্রও লুঠ হয়েছে। যা নিয়ে আশঙ্কা একটা রয়েছেই।


বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে জেল ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল ৭০০ জন। তাদের ফের ধরে জেলে ভরা যায়নি। এই তিন মাসের মধ্য়ে আরও ১৭৪ জন আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্র-আন্দোলনের সময় প্রায় ৫ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ হয়েছিল। যার মধ্যে দেড় হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ, একদিকে জঙ্গিরা জেলের বাইরে বেরিয়েছে। অন্যদিকে, অস্ত্রও লুঠ হয়েছে। সেইসব অস্ত্রের একটা অংশ এই জঙ্গিদের হাতে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একদিকে BSF-এর তরফে, তো অন্যদিকে BDR-এর তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, হঠাৎ করে বাংলাদেশ গোপনে তাদের সীমান্তে ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন কী কারণে বাংলাদেশের তরফে এই উদ্যোগ, তা নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দারা সন্দীহান। পাল্টা হিসাবে BSF-এর তরফ থেকেও অনেক বেশি নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে গত দুই দিন ধরে সীমন্ত বরাবর এলাকায় বিএসএফের নজরদারি যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, একদিকে যেমন অনুপ্রবেশের আশঙ্কা আছে। যেহেতু ওপার বাংলার সংখ্যালঘুরা সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন, ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন, এরকম একটা চাপ রয়েছে। সেটা যেমন বিএসএফের আটকানো লক্ষ্য। একইভাবে, এই সুযোগে সোনা পাচারকারী, গরু পাচারকারী, জালনোটের কারবারি এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে পারে। এরকম একটা আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে, ভারতের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সি নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করছে। বর্ডার এলাকায় কাজ করা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা সতর্ক আছেন। এর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও সতর্ক রয়েছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে