কলকাতা : শেখ হাসিনার ( Sheikh Hasina ) পদত্যাগের পরও অশান্ত বাংলাদেশ ( Bangladesh ) । ঢাকা-সহ বিভিন্ন জেলায় রাতভর চলেছে সংঘর্ষ, গুলি। গতকাল একদিনে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যশোরে আওয়ামি লিগের নেতা শাহিন চাকলাদারের হোটেলে ৯ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। চাঁদপুরে দেবের ছবির সহ প্রযোজক সেলিম খান ও তাঁর ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে পিটিয়ে খুন করেছে উন্মত্ত জনতা।
বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মাশরফি বিন মোর্তাজার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটিতে আওয়ামি লীগের অফিসে ভাঙচুর চলেছে। হামলা হয়েছে ফেনি, লক্ষ্মীপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আওয়ামি লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিসে।
বাংলাদেশ জুড়ে সেনা-পুলিশের উপর উন্মত্ত জনতার হামলা চলছে। ঢাকার সদর দফতর-সহ বাংলাদেশের শতাধিক থানায় হামলা করছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদে বন্ধের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় সংগঠন। পুড়িয়ে, পিটিয়ে খুন হচ্ছেন একের পর এক পুলিশকর্মী ও আওয়ামী লিগ সমর্থকদের। একদিনে বাংলাদেশে দেড়শোর বেশি মৃত্যুর ঘটবা ঘটল। যশোরে আওয়ামি লিগ নেতার হোটেলে ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন। তাতে পুড়ে মারা গেলেন ২৪ জন। ঢাকায় একের পর এক সরকারি অফিস, মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তুলে নেওয়া হয়েছে দেশজোড়া কার্ফু, খুলবে দোকান-বাজার-স্কুল-কলেজ। আজ থেকেই খুলে যাচ্ছে অফিস, আদালত।
বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুসারে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাসভবন সুধা সদনসহ রাজধানীতে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লীগের একের পর এক অফিসে। অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জায়গায়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী, দলীয় সংসদ সদস্য ও নেতাদের বাড়িতে চড়াও হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ওই রিপোর্ট অনুসারে, দেশের অন্তত ৪৪ জেলায় এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।
আরও পড়ুন :
প্রতিবছর ২ লক্ষেরও বেশি হিন্দু বাংলাদেশ ছাড়েন, এখন কি আরও বিপদের মুখে সে-দেশের হিন্দুরা?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।