Bangladesh News: আওয়ামি লিগকে 'ফ্যাসিবাদী' তকমা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এখানেই শেষ নয়। আজ অর্থাৎ ১০ নভেম্বর, রবিবার আওয়ামি লিগ যে মিছিলের পরিকল্পনা করেছে, সেখানেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সচিব (প্রেস সেক্রেটারি) শফিকুল আলম ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কোনও ধরনের হিংসাত্বক ঘটনা বরদাস্ত করবে না। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা ভাঙার কোনওরকম প্রচেষ্টা হলে তা যে মেনে নেওয়া হবে না সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে বর্তমানের আওয়ামি লিগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। এরকম ফ্যাসিবাদী একটি দলকে বাংলাদেশে কোনওরকম বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। কড়া ভাষায় শেখ হাসিনাকেও একহাত নিয়েছেন শফিকুল আলম। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার থেকে নির্দেশ নিয়ে কেউ যদি মিটিং, মিছিল, জমায়েত করার চেষ্টা করেন তাহলে তাঁকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন এজেন্সির সমস্ত শক্তির সম্মুখীন হতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একাধিক পোস্ট করে সমর্থকদের শহিদ নুর হোসেন চত্বর বা জিরো পয়েন্টে সমবেত হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে ১০ নভেম্বর, বিকেল ৩টেয়। রবিবার ঢাকার গুলিস্তানের এই জিরো পয়েন্টে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের জমায়েত করার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামি লিগ। মহম্মদ ইউনুসের সরকারকে স্বৈরাচারী, অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের আওয়ামি লিগ। আর এই শাসকের শোষণের বিরুদ্ধেই তাদের প্রতিবাদ। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠান এবং মৌলবাদ দমনের জন্য জিরো পয়েন্টে আওয়ামি লিগের সমর্থক, নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ৫ অগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর এই প্রথম এত বড় মাপের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের আওয়ামি লিগ। তাদের অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে অসংখ্য পোস্টার। সবেতেই বার্তা এক, অবৈধ ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই জমায়েতের ডাক দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামি লিগ এও জানিয়েছে তাদের প্রতিবাদ-আন্দোলন মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে হওয়া ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের আমজনতা যে সাধারণ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকার আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। চলতি বছর জুলাই-অগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী যে ছাত্র আন্দোলন হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ছাত্র লিগ 'ফ্যাসিবাদী' ভূমিকা পালন করেছে, এই অভিযোগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল দলকে।