কলকাতা: বাংলাদেশে এবার উৎসব পালনেও তালিবানি ফতোয়া বর্ষবরণের রাতে কোনও আতসবাজি পোড়ানো যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনও ফানুস ওড়ানো যাবে না। ফরমান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহঃ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর।
কিছুদিন আগে বাজারে মহিলারা কেনাবেচা করতে পারবেন না। একথা প্রচার করা হচ্ছিল বাজারে। সোশাল মিডিয়ায় এরকমই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। উল্লেখ্য, গান-গাওয়া কিংবা গান শোনার অধিকার তো আগেই ছিল না। এখন প্রকাশ্যে সামান্য জোরে কথা বলার অধিকারটুকুও নেই আফগানিস্তানের মহিলাদের! এই তালিবানি মডেলই কি অনুসরণ করতে চলেছে বাংলাদেশ? এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর দাবি এই ভিডিওটি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্মভিটে গোপালগঞ্জের। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাইক হাতে বাজারের ভিতরে প্রচার করা হচ্ছে, যাতে মহিলাদের জিনিসপত্র বিক্রি না করা হয়।
কখনও শেখ হাসিনা, তো কখনও খালেদা জিয়া, শেষ কয়েক দশকে, যে বাংলাদেশকে চালিয়েছেন মহিলারা! সেই দেশেই কি মহিলাদের ওপর তালিবানি ফতোয়া নেমে আসতে চলেছে?
এদিকে, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে সরব বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হয়ে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। এটা কেমন বিচার? প্রশ্ন তুললেন শেখ হাসিনা। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশের মানুষ। দেশ জ্বলছে। হাজার হাজার আওয়ামি লিগের কর্মী, পুলিশ কর্মী থেকে সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হয়েছে। ইউনূস সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে দায়ের হল নতুন মামলা। ধৃত সন্ন্যাসী-সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করলেন এক ব্যবসায়ী। চিন্ময়কৃষ্ণের অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এদিকে চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখল ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। তারা লিখেছে - সম্প্রতি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রীচিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারামুক্তি প্রদান করলে আপনার সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে আমরা মনে করি। ইতিমধ্যেই মহম্মদ ইউনূসকে কার্যত রাজধর্ম মনে করিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এবার আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তিনি। কিন্তু যে দেশে একজন সন্ন্যাসীর হয়ে আইনজীবীদের দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। যেখানে তাঁর আইনজীবীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি দিতে আদৌ কি কোনও সদিচ্ছা দেখাবে ইউনূস সরকার?