ঢাকা: উদ্বোধনের পরেই আজ সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে (Padma Bridge) শুরু হয়েছে যান চলাচল। সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই সেতু। ঢাকার মাওয়া এলাকায় টোল প্লাজায় ভিড় জমে যায়। পুলিশ (Bangladesh Police) গিয়ে ভিড় সরায়।
পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ’-এর উদ্বোধন : ‘সাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়। জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ পদ্মা ব্রিজের উদ্বোধনে শেখ হাসিনার মুখে শোনা গেল কবি সুকান্তর কবিতা। বঙ্গবন্ধুর কথা উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কণ্ঠে বিদ্রোহী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা। মুখে যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি! শনিবার ‘পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ’-এর উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ।
ঢাকা (Dhaka) এবং কলকাতা (Kolkata) আরও কাছাকাছি! এবার আগের থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলাদেশে (Bangladesh)। সৌজন্যে পদ্মা সেতু। সড়কপথে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় পৌঁছনোর দূরত্ব কমাবে পদ্মা সেতু। গতকাল সেতুর উদ্বোধন করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Sheikh Hasina)
দেশের সব থেকে বড় ঘটনা: বাংলাদেশ প্রশাসনের দাবি, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর এটাই দেশের সব থেকে বড় ঘটনা। খরস্রোতা পদ্মার ওপর সেতুর উদ্বোধন ঘিরে তাই তৈরি হয়েছে জাতীয় আবেগ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে বহু মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। আশা, পদ্মা সেতু দু’ দেশের বাণিজ্যেও নতুন সেতুবন্ধন করবে। পদ্মার ওপর এই সেতু দোতলা। একতলায় নদীর কাছাকাছি সিঙ্গল লাইনে চলবে ট্রেন। তার ওপরে চার লেনের চওড়া রাস্তায় চলবে সব রকম গাড়ি।
পদ্মা সেতু চালু হলে, কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে দেড়শো কিলোমিটার। এখন এপার বাংলার রাজধানী থেকে ওপার বাংলায় পৌঁছতে ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় ট্রেনে। সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। শনিবার থেকে ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই পা পড়বে পদ্মাপারে। সময় লাগবে ৬ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা।