নয়া দিল্লি: অশান্তি থামার লক্ষণই নেই। বাংলাদেশে জ্বলছে আগুন, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা, এবং বাংলাদেশ থেকে পালানোর পর দু’দিন কেটে গেছে। কিন্তু, আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে খুন, তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর, এসব থামার লক্ষণ নেই।
সেনার অধীনেও নৈরাজ্য বহাল বাংলাদেশে। এবার কুষ্টিয়ায় জেল ভেঙে পালাল অন্তত ৫০ জন বন্দি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলল গুলি। তবে অস্ত্র লুঠ হয়নি বলে দাবি জেল কর্তৃপক্ষের। ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় চলছে লুঠতরাজ। লুঠপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক বাড়িতে। এবার নিশানা করা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমকেও। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের দফতরে। মারধর করা হচ্ছে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের। ময়মনসিংহর জাদুঘরেও ভাঙচুর হয়েছে।
বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি
হত্যাপুরী বাংলাদেশে পর পর লাশের সারি, হিংসার ক্ষত পদ্মাপারে। কোথাও সেতু থেকে ঝুলছে মৃতদেহ, কোথাও হোটেলেই পুড়িয়ে খুন। ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে আরও ২১টি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ পুলিশ কর্মী। ৩ দিনে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে ৬৯টি মৃতদেহ। উত্তরা পূর্ব থানায় হামলার ঘটনায় নতুন করে ১৩ জনের দেহ উদ্ধার। সোমবারের হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে নোট বাতিলের আশঙ্কা? কমল টাকার দাম, ভারতের ১০০ টাকায় বাংলাদেশি টাকা কত মিলবে?
এখনও অশান্ত বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, অন্তত ১৪জনের মৃত্যু। কুমিল্লায় আওয়ামি লিগের কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে ৬জনের দেহ উদ্ধার। কুমিল্লার তিতাস থানায় ২ পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে খুন। এখনও পর্যন্ত ২৯ জন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার। ঢাকায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ভাঙচুর। বঙ্গবন্ধু কর্নারেও আগুন, মুজিবুর রহমান ও হাসিনার ছবিতেও অগ্নিসংযোগ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে