কলকাতা: সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বাতিলের দাবিতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Violence)। লাগাতার পুলিশ-ছাত্র আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করছে বাংলাদেশের প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশে এই পরিস্থিতিতে ৭০ পেরিয়ে গিয়েছে মৃতের সংখ্যা। জখম হয়েছেন বহু নাগরিক। 


ঢাকা (Dhaka) এবং আরও কিছু এলাকায় ভয়াবহ অশান্তি পরিস্থিতি। কার্যত ফুটছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে সব স্কুল-কলেজ। আজ ও কাল বাতিল করা হয়েছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাতিল করা হয়েছে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসও। বাংলাদেশের সঙ্গীন পরিস্থিতির কথা বিচার করে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।   


মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য় চাকরিতে ৩০% সংরক্ষণ (Bangladesh Quota reform movement) বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। এই আন্দোলন প্রথমে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে তা হিংসাত্মক রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে একাধিক পড়ুয়া মারা যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। যদিও বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের তরফে দাবি করা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। তাদের দাবি, ছাত্রলিগের কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে বিরোধীরা চক্রান্তের মাধ্য়মে হিংসাত্মক রূপ দিচ্ছে বলেও বারবার অভিযোগ করেছে আওয়ামি লিগ। যদিও বিরোধীদের দাবি, দমনপীড়ন নীতির মাধ্য়মে বাংলাদেশের বুকে হওয়া সংরক্ষণ বাতিল আন্দোলনকে শেষ করতে চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার, তার জন্য হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে খোদ সরকারের পুলিশ-নিরাপত্তা বাহিনীই। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি-ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। দুই শিবির একে-অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। মাঝখান থেকে কোল খালি হচ্ছে মায়েদের। 


দেশের ভয়ঙ্কর ছবি দেখে উদ্বেগে পড়েছেন এপার বাংলায় পড়তে আসা ওপার বাংলার পড়ুয়ারা। শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশি পড়ুয়া শ্রাবণী সায়ন্তনী বলেন, 'আমি এখনও কাঁপছি। কারণ কালকে থেকে আমাদের সরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। বিকেলের পর থেকে কোনওভাবেই কাউকে ফোনে, না হোয়াটসঅ্য়াপ না মেসেঞ্জারে। কোনওভাবে ফোন লাগছে না। খুব চিন্তা হচ্ছে। আমি চিন্তায় কাল রাতে ঘুমোতে পারিনি, খেতেও পারিনি।'


কলকাতায় প্রতিবাদ:
এদিন বিভিন্ন বাম ছাত্র-যুব সংগঠন কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটেশন দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। অ্য়াকাডেমির সামনে থেকে মিছিল শুরু করলে তাদের দফায় দফায় আটকানো হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।



আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, জেলে হামলা-আগুন! পালালেন অন্তত ১০০ বন্দি