ঢাকা : সেনার শাসন নয়। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা তৈরি করে দিতে চায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকরা। যেখানে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। জানালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখরা চাইছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হোক বাংলাদেশের তদারকি সরকার। ইউনুস দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের বাম দলগুলিও। মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠকের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করা হতে পারে। 


প্রথম আলো সূত্রে খবর, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন  মঙ্গলবার ভোররাতে এক ভিডিওতে এই ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ভিডিও বার্তাটি দেন।  ভিডিওটি তা  ফেসবুক মারফত প্রচার করা হয়।   নাহিদরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন। জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁরা এখনই একটি রূপরেখা ঘোষণা করেন। তাঁরা স্পষ্টতই তান সকলকে নিয়ে নতুন এই সরকার গঠন হোক। আর তার উপদেষ্টা করা হোক  ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও তাঁরা ঘোষণা করবেন বলে জানান। 


 প্রথম আলো সূত্রে খবর, নাহিদ জানান, অবশ্যই ছাত্র–জনতার প্রস্তাবিত সরকার বাদে কোনও ধরনের সরকারকে  মেনে নেওয়া হবে না।ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করেই এই সরকার গঠন করা হবে। এখন তাঁদের দাবি অনুসারেই সরকার গঠন হবে কি, সেটাই দেখার। 


এরই মধ্যে নোবেলজয়ী ইউনুস এবিপি লাইভকে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'ভারত  বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করুক,  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়। অনুগ্রহ করে ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক', মত ইউনুসের।  


অর্থনীতিবিদ  বলেন, ”আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই... তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক এবং আমরা কোথায়  তা বোঝার জন্য় আমাদের একযোগে চেষ্টা করা দরকার । কেন আমরা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখব? কেন দেশের সঙ্গে নয় ?”       


ইউনুসের মতে, “বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকেরই নিজেদের মত প্রকাশের, নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান। আপনি বন্দুক দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। মানুষকে মিথ্যা অভিযোগ করে জেলে ঢোকাতে পারবেন না। গণতন্ত্র ও নির্বাচনে ফিরে আসতে হবে। আর আজ সেই দরজাটা খুলে দেওয়া হয়েছে। ” 


 আরও পড়ুন :


প্রতিবছর ২ লক্ষেরও বেশি হিন্দু বাংলাদেশ ছাড়েন, এখন কি আরও বিপদের মুখে সে-দেশের হিন্দুরা? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।