ঢাকা : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তিতে আর্থিক দুর্নীতি, আত্মসাৎ ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওড়ালেন শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ। ২০১৫ সালের এই ১২.৬৫ মার্কিন ডলার চুক্তিতে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভুয়ো ও কলঙ্কিত করার জন্য প্রচার বলে দাবি করেছেন তিনি। এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি।


হাসিনা-পুত্র এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। আমরা কখনো কোনও সরকারি প্রকল্পে যুক্ত থাকিনি এবং তা থেকে টাকা করিনি। আমি ৩০ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছি। আমার মাসি এবং মাসতুতো বোন ঠিক অত বছরই ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন। স্পষ্টতই এই দুই দেশে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। আমাদের কোনও অফশোর অ্যাকাউন্টও নেই। যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, অত পরিমাণ অর্থ আমাদের মধ্যে কেউ কখনো দেখেনওনি। ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। যে লেনদেনের অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা। ACC-কে চ্যালেঞ্জ করছি, এই লেনদেনগুলো তারা প্রকাশ করুক এবং আমাদের কাছে আসুক। জঙ্গি ছাত্রদের নিয়ে গঠিত অবৈধ ইউনূস সরকার দেশে চালানোয় তাদের ব্যর্থতা থেকে চোখ ঘোরাতে চাইছে। আইন-শৃঙ্খলার অভাব, আর্থিক ব্যর্থতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।'


 






কী অভিযোগ ? 


বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি-বিরোধী কমিশন। সেই মর্মে তদন্তও শুরু হয়েছে। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে যোগ দিয়েছে ভারতীয় সংস্থা। এই কাজে যুক্ত রয়েছে রাশিয়ার Rosatom। রাশিয়া-আদলে বাংলাদেশে প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে। এই কাজেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং হাসিনার বোনঝি ও ইংল্যান্ডের ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাসিনা, জয় ও টিউলিপের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাঙ্কে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরানোর অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা কেন জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটে।