নয়াদিল্লি: গত কয়েক মাসে বদলে গিয়েছে পারস্পরিক সমীকরণ। পাশাপাশি অবস্থান হলেও, এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চিনা-ভাবনার দূরত্ব স্পষ্ট। সেই আবহেই এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি মন্তব্যে প্রতিবাদ জানাল ঢাকা। সেখানে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে প্রতিবাদপত্র জমা দিল তারা। শাহের মন্তব্যে তারা অসন্তুষ্ট, আহত বলে জানানো হয়েছে। (Amit Shah)


গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মুখ খোলেন শাহ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ঝাড়খণ্ডে ভোটে জিতলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উচিত শিক্ষা দেবে বিজেপি। প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে।" শাহের এই মন্তব্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। শাহের মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত তাদের। (Bangladesh News)


বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশমন্ত্রীক ঢাকায় ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র জমা দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, এই ধরনের মন্তব্যে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত আহত এবং অসন্তুষ্ট। ভারতল সরকারকে অনুরোধ, তাঁদের নেতাদের এই ধরনের আপত্তিজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হোক।


ঢাকায় ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবাদপত্রে বাংলাদেশ সরকার আরও জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে পড়শি দেশের নাগরিকদের সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই কাম্য নয়। দুই বন্ধু দেশের পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের মন্তব্য অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। 


চলতি বছরের শেষ দিকে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। শুধুমাত্র শাহই নন, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কথা উঠে আসে। হেমন্ত সরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতৃত্বাধীন জোট সরকার রাজ্যে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদে জন্য সাঁওতালপরগনায় আদিবাসী জনসংখ্যা দিন দিন কমছে বলেও দাবি কেন মোদি। বিরোধীরা যদিও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভাজনকামী রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে।


গত কয়েক মাস ধরেই দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ঢাকার। অশান্তি চলাকালীন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই নিয়ে আপত্তি জানাতে দেরি করেনি। এবার শাহের মন্তব্যে আপত্তি জানাল তারা।


আরও পড়ুন: Rajatava Dutta on Tollywood: 'অত্যন্ত ঘৃণ্য-নিন্দনীয় ঘটনা, তবে মনে করি অসুখ শনাক্ত হলে সারানো সম্ভব', টলিউডে 'থ্রেট কালচার' প্রসঙ্গে মন্তব্য রজতাভ দত্তের