Bangladeshi Infiltration: ফের রাজধানীতে খোঁজ মিলল অনুুপ্রবেশকারীর। বাংলাদেশের নথি নিয়েই ভারতে বসবাস করছিল এই ব্যক্তি। দিল্লিতে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃত বাংলাদেশির নাম সহিদুল ইসলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, বৈধ নথি ছাড়াই গত ৩ বছর ধরে দিল্লিতে থাকছিল সহিদুল। এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রায় ২ দশক আগে তৈরি হওয়া দিল্লি পুলিশের 'বাংলাদেশি সেল'- ও এখন সক্রিয় অভিযান চালাচ্ছে। 


অন্যদিকে মুম্বইয়ের ঘাটকোপার থেকে গ্রেফতার হয়েছে ১৩ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশের নথি নিয়েই ভারতে করছিল তারা। বসবাস। ফের রাজধানীতে খোঁজ মিলল অনুুপ্রবেশকারীর। এরা প্রত্যেকেই নাল্লাসোপারায় থাকত। মহারাষ্ট্র থেকে এর আগেও বেআইনিভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশের বেশ কিছু নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


সম্প্রতি অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের সাহায্যকারী আরেকটি চক্রের পর্দাফাঁস। এই চক্রের কিংপিন অনীশ অনেকদিন ধরেই ছিল পুলিশের নজরে। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। বিলাল নামের আর এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে অনীশ দিল্লিতে বসবাস করছে। প্রায়ই বাংলাদেশে যাতায়াত করত সে। তার বিরুদ্ধে জাল নথি দিয়ে প্যান কার্ড, আধার কার্ড এমনকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্যের অভিযোগও রয়েছে। কেউ একবারে টাকা দিতে না পারলে কিস্তিতেও অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত বলে খবর। 


বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধ ভাবে ভারতে আসছিল তাদের জন্য ভুয়ো নথি তৈরি করে এমন একটি চক্রের সম্প্রতি পর্দাফাঁস করেছে দিল্লি পুলিশ। এই চক্রের কিংপিন অনীশ এখন দিল্লি পুলিশের জালে। গ্রেফতার হয়েছে বিলাল নামের আরও এক ব্যক্তি। এই দুই মাস্টারমাইন্ডই সমস্ত পরিকল্পনা করত। কীভাবে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে আসা হবে, তাদের ভুয়ো ডকুমেন্ট তৈরি করা হবে, সবটাই থাকত অনীশ এবং বিলালের নখদর্পণে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্বের মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে আনা হত। ভারতে আসার পর কিছু লোককে রাখা হতো কলকাতায়। তারপর তাদের নিয়ে আসা হতো দিল্লিতে। ভুয়ো প্যান কার্ড, আধার কার্ড ছাড়াও ব্যাঙ্কের চেকবুক পাওয়া গিয়েছে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির থেকে। 


আরও পড়ুন- 'হাল্কা মাথা ফেটেছে, এবার পুরো মুণ্ডুটাই উড়িয়ে দেব', এখনও 'থ্রেট' পাচ্ছেন বাগুইআটির প্রোমোটার