পূর্ণেন্দু সিংহ, মুকুটমণিপুর(বাঁকুড়া) : করোনা পরিস্থিতির কারণে ধুঁকছে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্র। এদিকে সামনেই পুজো। এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখছেন হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নৌকা চালকরা । তাঁরা আশাবাদী, পুজোয় অনেক পর্যটক আসবেন এখানে।


বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা। এখানকার জলাধার দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসেন। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক আগের তুলনায় অনেকটাই কম আসছেন। সামনে পুজো। অন্যান্য বছর পুজোর আগে হোটেল ও নৌকায় যে বুকিং হত, এবছর সেই তুলনায় তা অনেকটাই কম। তবুও আশা রেখেছেন হোটেল ব্যবসায়ী থেকে নৌকা চালকরা। তাঁদের বক্তব্য, পুজোয় পর্যটকরা আসবেন।


তাপস মণ্ডল নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, এই জুলাই-অগাস্টে হোটেলগুলি আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্রে সরকারি ও বেসরকারি মিলে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। এই মুহূর্তে শুক্র, শনি ও রবিবার- এই তিনটে দিন ব্যবসা হচ্ছে আগের মতোই। কিছু কিছু পর্যটক আছেন এখন সরকারি নিয়ম বিধি মেনে। আস্তে আস্তে বুকিং শুরু হয়েছে হোটেলের। কিন্তু, অন্য বছর এই সময় পুজোর পুরোপুরি হোটেল বুকিং হয়ে যেত। এখন আমরা আশায় দিন গুণছি, আমাদের হোটেলগুলি চলবে। এতসব স্টাফ রয়েছেন। আমরা তাঁদের পেমেন্ট করতে পারব। আমাদের অনেক ঋণ রয়েছে। সেটাও শোধ করতে পারব।


নৌকা চালক বাবলুদা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটকরা আসেন না। আমাদের বাজার অনেকটাই খারাপ হয়ে গেছে। মাথায় হাত। এখন যা অবস্থা তাতে সংসার চালানোয় দায় হয়ে গেছে। সামনে পুজো। পর্যটকরা যদি না আসেন সংসার চালাব কী করে ! পরিবারকে জামা-কাপড় কিনে দেব কীভাবে ? অন্যান্য বছর এখন থেকে বুকিং হয়ে যেত। ১৫ অগাস্টের পর থেকে রমরমিয়ে চলত আমাদের। আশায় রয়েছি, পর্যটকরা আসবেন মুকুটমণিপুরে।


পাপিয়া সরকার নামে কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, মুকুটমণিপুর ভাল লাগছে। বোটিং করলাম। কংসাবতী ড্যাম ঘুরলাম। এতদিন বাড়িতেই ছিলাম। অনেকদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে বেরোলাম। মুকুটমণিপুর দেখে বিষ্ণুপুর হয়ে বাড়ি চলে যাব। অনেকটাই খালি। টুরিস্ট নেই বললেই চলে। আমরা এসেছি। নিজেদের মতো করে আনন্দ করে নিচ্ছি।


সন্দীপ মহান্তি নামে অপর এক পর্যটক বলেন, মুকুটমণিপুরে জল ছাড়া হয়েছে। অপরূপ সুন্দর এটা। এটা দেখার জন্য আমরা এসেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন বাড়ি থেকে বেরোতে পারিনি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। অন্য বছর পর্যটকরা থাকেন। এবার অনেকটাই কম।