Bappi Lahiri Passes Away: চোখের জলে বিদায় জানাল মুম্বই, চিতায় অগ্নিসংযোগ করলেন পুত্র
Remembering Bappi Lahiri: ১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি জখমি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাপি লাহিড়ি।
বাপি লাহিড়ির জুহুর বাড়িতে গিয়ে মাছের ঝোল খেতে চেয়েছিলেন। বিদায় বেলায় ডলের মেহেন্দির স্মৃতিতে উঠে আসছে সে’সব দিনের কথা। সঙ্গীত শিল্পী দালের মেহেন্দি জানালেন, ' খুব মাটির মানুষ ছিলেন...ডাউন টু আর্থ। বলেছিলাম মাছের ঝোল খাব...খুব খুশি হয়েছিলেন'
কভি আলবিদা না কহেনা...। এই গানের সুরস্রষ্টাকে চোখের জলে বিদায় জানাল মুম্বই। চিতায় অগ্নিসংযোগ করলেন পুত্র
বাপি লাহিড়ির শেষকৃত্যে হাজির শক্তি কাপুর, ইলা অরুণ, অলকা ইয়াগনিক, মিকা সিং, বিন্দু দারা সিংয়েরা।
জুহুর বাড়ি থেকে ভিলে পার্লের পবনহংস শ্মশানের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। সেই পথই এদিন পেরোতে সময় লাগল প্রায় একঘণ্টা।
তাঁর সুরের মতোই রঙিন ছিল তাঁর জীবন। দুনিয়াটাকে দেখতেন রঙিন চোখে। গয়নার মতোই তাঁর সানগ্লাসের কালেকশনও দুর্দান্ত। আজ সব ছেড়ে অন্য সুরলোকে যাত্রা তাঁর।
কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বজনরা। শেষযাত্রায় সামিল সঙ্গীতশিল্পী অভিজিত, মিকা। পাশে ছেলে বাপ্পা। চলছে পুজোপাঠ।
চলছে মন্ত্রোচ্চারণ, ওঁ অসতো মা সদ্ গময় । শব নামানো হল । একটু পরেই মুখাগ্নি বাপি লাহিড়ির।
বিদেশ থেকে ফিরেছেন বাপ্পা। বাবার শেষকৃত্যে কাঁধ দিলেন। উঠল হরি বোল ধ্বনি। কান্নায় ভেঙে পড়ল নাতি ।
জুহুর লাহিড়ি হাউস থেকে অন্তিম যাত্রা । ভিলে পার্লের পবনহংস শ্মশানে পৌঁছল দেহ। শোকস্তব্ধ বলিউড।
লাহিড়ি হাউস থেকে শুরু হচ্ছে বাপি লাহিড়ির অন্তিম যাত্রা। ফুলে সাজানো ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিস্কো কিংয়ের মরদেহ। লাহিড়ি হাউস থেকে মিনিট দশেকের দূরত্বে ভিলে পার্লের পবনহংস শ্মশান। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বাপি লাহিড়ির ( Bappi Lahiri ) শোকার্ত জামাইয়ের গোবিন্দ বনসল বার্তা - 'শাশুড়ি-মা নিজে হাতে খাইয়েও ছিলেন। তারপর কী যে হল ... সব শেষ'
হিন্দি ছবিতেও একের পর এক প্রজন্মকে মাতিয়ে রেখেছিলেন বাপি লাহিড়ি। অমিতাভ বচ্চনের নমক হালাল, শরাবির মতো ছবিতে সুর দিয়েছিলেন তিনি। আবার গুরু ছবিতে অমিতাভ পুত্র অভিষেকের জন্যও প্লেব্যাক করেছিলেন বাপি।
করোনার সময় হাসপাতালে রোগীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে শোনানো হত বাপি লাহিড়ির গান। ফেসবুকে সেই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু, মঙ্গলবার সবার মন খারাপ করে চলে গেলেন সেই বাপি লাহিড়ীই।
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত একটি রোগ। সেই রোগে আক্রান্ত হলে ঘুমের সময় হঠাৎ রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। যিনি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হন, তাঁর গলার ভেতরকার পেশি স্বাভাবিকের চেয়ে শিথিল হয়ে আসে। গলার পেশির শিথিলতার কারণে নিঃশ্বাস নেওয়ার পথটি ক্রমশ অবরুদ্ধ হয়। এবং দেখা দেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট।
৬৯ বছর বয়সে স্লিপ অ্যাপনিয়া’-য় প্রয়াত বাপি লাহিড়ি। আমেরিকা থেকে ছেলে ফেরার পর আজ মুম্বইয়ে শেষকৃত্য। শোকস্তব্ধ বলিউড
ব্যস্ততার জন্য সরে দাঁড়িয়েছিলেন আরডি বর্মন ও লক্ষ্মীকান্ত প্যায়ারেলাল মতো তৎকালীন বিখ্যাত সুরকার। আর তারফলেই ১৯৭৬-এর চলতে চলতে সিনেমায় বড়সড় সুযোগ পেয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। এ কথা জানিয়েছেম সঙ্গীতকার তথা চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিত খান্না।
বাপি লাহিড়ির মৃত্যু শোকের ছায়া বলিউডে। তাঁর বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বলিউড তারকারা। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না তাঁরা।
দাদু বাপি লাহিড়িকে আবেগভরা শ্রদ্ধার্ঘ নাতি স্বস্তিক বনশলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, তোমাকে খুব মিস করছি।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমার সম্পর্কে বাপির মামা। ফলে ছোট থেকে সাঙ্গীতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন বাপি লাহিড়ি।
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। সঙ্গে লেখেন, 'বাপি দা আপনাকে সবসময় মনে রাখব এদেশের একজন সত্যিকারের রকস্টার হিসেবে। আপনার সুর আপনার গান আপনার ব্যক্তিত্ব সবকিছুই যেন খুব আইকনিক। সবসময় ভালোবাসার মতো উদ্দীপ্ত, ফুরফুরে মেজাজের সদাহাস্য মানুষ আপনি। আমার সৌভাগ্য যে আমার কেরিয়ারে আপনার আশীর্বাদ পেয়েছি। সুযোগ পেয়েছি আপনার সুরে গান গাওয়ার। বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন বাপি দা। ভয়ঙ্করভাবে আপনাকে মিস করব। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি।'
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে গায়ক শান লেখেন, 'আ ভি যা... আ ভি যা একবার... ইয়াদ আ রহা হ্যায়... তেরা পেয়ার!!! আমার মিষ্টি, প্রিয়, সবথেকে ভালোবাসার বাপি দা। আমরা তোমাকে খুব মিস করব।' শানের এই পোস্টে কমেন্টে শোক প্রকাশ করেছেন বহু নেট নাগরিক।
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর অভিষেক বচ্চন ট্যুইট করেছেন, সোনালি ঐতিহ্যে শান্তিতে থাকো বাপিদা। সুরের জন্য ধন্যবাদ।
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া। সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বিশিষ্ট থেকে সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে আইটিবিপি-র এক জওয়ান প্রয়াত শিল্পীর গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
জুটি ভেঙে গেল, বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে প্রতিক্রিয়া ঊষা উত্থুপের। অনেক গান বাকি থেকে গেল, বললেন বিক্রম ঘোষ। আলবিদা বলতে পারব না, প্রতিক্রিয়া জিতের।
বাপি লাহিড়ির বাসভবনে গিয়ে প্রয়াত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পীকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন শানের
বলিউড অভিনেতা শাহিদ কপূর বলেছেন, বাপি লাহিড়ির গান শুনে, গানের তালে নেচে বড় হয়েছি। তাঁর গান মানুষকে একমঞ্চে এনে তুলত। তাঁর প্রতিভা ও আবেগের অভাব অনুভূত হবে।
অভিনেত্রী রিনা রায় তাঁর স্মৃতিচারণায় বলেছেন, আমি বাপি লাহিড়ির সঙ্গে দুটি সিনেমা মদহোশ ও জখমি-তে কাজ করেছি। তিনি ছিলেন খুবই নিরীহ প্রকৃতির। আউটডোর লোকেসনের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি সর্বদাই তাঁর মায়ের সঙ্গে আসতেন। তিনি ছিলেন খুবই প্রতিভাবান। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
বাপি লাহিড়ির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে সুনীল শেট্টি বলেছেন, ,বাপিদা ছিলেন কিংবদন্তী, মহান সংগীতশিল্পী। সেইসঙ্গে একজন ভালো মানুষও। খুবই স্নেহপ্রবণ। আমার মনে হয় এই বছর খুব-খুব ক্ষতি হচ্ছে। এর আগে লতাজি চলে গেলেন-এবার বাপদা। তাঁদের শূন্যস্থান কখনও পূর্ণ হবে না। দাদার আত্মার শান্তি কামনা করি।
প্রয়াত বাপি লাহিড়ির বাসভবনে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন শিল্পী অকলা ইয়াগনিক
‘আমরা আরও একটি রত্ন হারালাম। আঘাত ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বাপিদার পরিবার, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা। ’ ট্যুইট করে জানালেন অভিনেতা প্রসেনজিত।
বাপ্পি লাহিড়ির স্মৃতি জড়নো কথা উজাড় করে দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, 'বাপিদা আমার কাছে কতটা বিশেষ তা বলার ভাষা আজ নেই আমার কাছে। তোমার মনটা সত্যিই সোনার মত ছিল! আমাদের আত্মীয়তা, আমাদের একসঙ্গে কাজ... কত কত স্মৃতি... ভালো থেকো বাপিদা। তোমার সকল সৃষ্টি চিরদিনই অমর হয়ে থাকবে'।
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে শিল্পপতি গৌতম আদানির ট্যুইট, চলতে চলতে...মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখনা...কভি আলবিদা না কহেনা...রোতে হাসতে বস ইঁয়ুহি তুম...গুনগুনাতে রহেনা... কভি আলবিদা না কহেনা...বাপিদা, অলকেশদা, তুমি আর তোমার গানের স্মৃতি সারাজীবন আমাদের সঙ্গে থাকবে। তুমি তোমার নিজের মতো করে গোটা জীবনটা কাটিয়েছ। ওঁ শান্তি। কভি আলবিদা না কহেনা...।
বাপি লাহিড়ির সঙ্গে শৈশব কাটিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই চত্বরে একসময় থাকতেন তাঁরা। বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে সেই স্মৃতিচারণ করলেন শিল্পমন্ত্রী ।
ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি আমেরিকায় রয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি ফেরার পর, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পবনহংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সঙ্গীত শিল্পী বাপি লাহিড়ির।
নানারকম মাছের ভক্ত ছিলেন বাপি। মুম্বইয়ে যে হরেক রকম মাছ পাওয়া যায় না, তা নিয়ে দুঃখও করতেন। অন্যদিকে, খুড়শ্বশুরের সঙ্গে গান গাওয়ার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন দুই পুত্রবধূ সুপর্ণা ও কবিতা চৌধুরী।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও বাংলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন বাপি লাহিড়ি। জলপাইগুড়িতে জন্ম। শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় বাপি লাহিড়ির মাসির বাড়ি। ২ বছর বয়স থেকে এই বাড়িতে যাতায়াত। ২০১৭-য় শেষবার এসেছিলেন মাসতুতো দাদার নাতির পৈতের অনুষ্ঠানে। সেবার বেশ কয়েকদিন শিলিগুড়িতে ছিলেন বাপি। কাজে বা ঘুরতে উত্তরবঙ্গে এলে হোটেলে নয়, থাকতেন মাসির বাড়িতেই। সে কটা দিন পরিবারের সঙ্গে গান, গল্প, আড্ডায় কেটে যেত। নানারকম মাছের ভক্ত ছিলেন বাপি। মুম্বইয়ে যে হরেক রকম মাছ পাওয়া যায় না, তা নিয়ে দুঃখও করতেন। সেই সব দিনের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন মাসতুতো দাদা ভবতোষ চৌধুরী। খুড়শ্বশুরের সঙ্গে গান গাওয়ার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন দুই পুত্রবধূ সুপর্ণা ও কবিত চৌধুরী।
সঙ্গীত জগতে একের পর এক অপূরণীয় ক্ষতি। কাল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর আজ সকালে বাপি লাহিডির মৃত্যুতে শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে। বিনোদন জগতেও বড় ধাক্কা। টলিউডের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাপি লাহিড়ির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন রীতিমতো। তিনি বলেন, ''বাপিদা আমার পরিবারের মতো ছিলেন। আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। বড় দাদার মতো ছিলেন আমার। আমি খুব ভেঙে পড়েছি এই ঘটনায়। এরকমটা কখনওই ভাবতে পারিনি। পুরো বিশ্বের কাছে একজন অনুপ্রেরণা বাপি লাহিড়ি। কেউ ওঁনার অবদান ভুলবে না। বাপিদা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন, থাকবেনও।''
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে ‘বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার’, ২০১৫-য় স্পেশ্যাল লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড, ২০১৬ সালে ‘মহানায়ক সম্মান’ ও ২০১৭ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে।
রবীন্দ্র সদনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাপি লাহিড়িকেও শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা। একতারা মুক্তমঞ্চে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাখা থাকবে বাপি লাহিড়ির ছবি।
রুমা
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, কিংবদন্তী সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি (অলকেশ লাহিড়ি)-র প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি মুম্বইয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। উত্তরবঙ্গের সন্তান আমাদের বাপি লাহিড়ি অসামান্য প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমে সর্বভারতীয় খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর সাঙ্গীতিক অবদানের মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অবিস্মরণীয় সুরের জাদুতে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। হিন্দি,বাংলা ছাড়াও তিনি তেলুগু, তামিল, কন্নড়-সহ বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি বাপি লাহিড়ির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শোকবার্তায় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাপি লাহিড়ির সঙ্গে ছবি দিয়ে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর। নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট, বাপি লাহিড়ির সমস্তটা জুড়ে ছিল সঙ্গীত, নানা ধরনের আবেগকে তিনি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর কাজ মনে রাখবে। প্রাণবন্ত স্বভাবের জন্য তাঁর অভাব বোধ করবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা। ওঁ শান্তি। শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর।
বাপি লাহিড়ির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন অমিত শাহ-র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ট্যুইট, কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ির মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর প্রয়াণ ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। বহুমুখী প্রতিভা ও প্রাণবন্ত স্বভাবের জন্য বাপিদা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা। ওঁ শান্তি। ট্যুইটে লেখেন অমিত শাহ।
গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাপি লাহিড়ির অকস্মাৎ প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পী মহল। এবিপি আনন্দ-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী ঊষা উত্থুপ। তিনি বলেন, "কত যে গান করেছি তা গুনে বলা যাবে না। একটার পর একটা হিট গান। আমি কিছু ভাবতে পারছি না। আর কত আঘাত দেবেন ভগবান।"
গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও উত্সাহী ছিলেন। ২০১৪-য় শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।
৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে শুরু। ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য।
গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ি। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ মুম্বইয়ের জুহুর একটি নার্সিংহোমে জীবনাবসান।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ মুম্বইয়ের (Mumbai) জুহুর (Juhu) একটি নার্সিংহোমে জীবনাবসান।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমার (Kushar Kumar) সম্পর্কে বাপির মামা। ফলে ছোট থেকে সাঙ্গীতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন বাপি লাহিড়ি।
শুরুটা ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে। ১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি জখমি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাপি লাহিড়ি। একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন।
গায়কীর নিজস্বতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল।
সোনার গয়না পরার ঝোঁক ছিল বাপি লাহিড়ির। গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও উত্সাহী ছিলেন। ২০১৪-য় শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।
গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -