কলকাতা: কলার দাম বেশি নয়, পাওয়া যায়ও সহজে। অন্য ফলের মত জলেও ধুতে হয় না, পুষ্টি প্রচুর। মুহূর্তে এনার্জি দেয়, একটা কলা খেলেই প্রায় ভরে যায় পেট। ফলে সহজে খিদে পায় না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক রোজ কলা খাওয়ার উপকারিতা।

ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যেতে দেয় না কলা। রোজ কলা খেলে ত্বকের বুড়ো হওয়ার গতি ঢিমে হয়। এর কারণ, কলায় প্রচুর ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ আছে, ত্বকের পক্ষে যা অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজও করে, যা ত্বকের কোষ ও টিস্যুকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।

সাধারণত ওজন বাড়াতে লোকে কলা খায়। কিন্তু ওজন কমানোর জন্যও কলা উপকারী। ফুল ফ্যাট দুধের সঙ্গে কলা খেয়ে দেখুন, আপনার ওজন বাড়বে। কিন্তু দুধ ছাড়া শুধু কলা খান, ওজন কমবে। এর কারণ, কলায় প্রায় ১০০ ক্যালরি থাকে। যদি মাঝারি সাইজের ২-৩টে কলা পরপর খেয়ে নেন, তাহলে পেট পুরোপুরি ভরে যায়। ক্ষিদে কম পায়, দ্রুত এনার্জি আসে। তবে ওজন কমাতে চাইলে একেবারে পাকা কলা খাবেন না, একটু কম পাকা কলা বেছে নিন। এতে রেসিস্ট্যান্স স্টার্চ পাওয়া যায় বেশি।

ন্যাচারাল সুগার বা এনার্জিতে ভরপুর হল কলা। তাই এনার্জি ড্রিঙ্ক নয়, কলা খান। এতে ফ্যাট নেই, রয়েছে ৩ রকম ন্যাচারাল সুগার-সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ আর গ্লুকোজ। তাই যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা দৌড়ন, তাঁদের পক্ষে কলা দারুণ ভাল।

ব্লাড প্রেসার কমাতে কলা অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, সোডিয়াম খুব কম। একটা বড় কলা খেলে দৈনিক প্রয়োজনের ১০% পটাসিয়াম পেয়ে যাবেন আপনি। ফলে ব্লাড প্রেসার তো কমবেই, হৃদযন্ত্র আর কিডনিও ভাল থাকবে।

গর্ভাবস্থাতেও কলা খাওয়া নিরাপদ। এই সময় অনেকে হাই ব্লাড প্রেসার, মর্নিং সিকনেস, বমি বমি ভাব ইত্যাদিতে ভোগেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কলা এই সমস্ত সমস্যার দারুণ ওষুধ। অতএব নির্ভয়ে কলা খান।