কলকাতা: মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিজেপি (BJP) শাসিত মণিপুরে (Manipur)। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনও রকম জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, মণিপুরের চুড়াচাঁদপুর এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায়। 


এই পরিস্থিতিতে আইন অমান্যকারীদের শ্যুট অ্যাট সাইট বা দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। All tribal students union-এর মিছিল ঘিরে বুধবার অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা রাজ্যে ৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। উপজাতি এবং উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায় নয় এমন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ৮ জেলায় জারি করা হয়েছে কার্ফু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা।                 


এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ও নির্বাচন নিজেদের জায়গায় থাকুক। আমাদের সুন্দর রাজ্য মণিপুরকে আগে রক্ষা করতে হবে আগে। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মণিপুরের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখতে , সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করছি। আমি আমাদের মণিপুরের ভাই-বোনদেরও শান্ত থাকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই। আজ যদি আমরা মনুষ্যত্বকেই এভাবে ধ্বংস করি, তাহলে আগামী দিনে নিজেদের আর মানুষ বলতে পারব না।' 






আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের


মণিপুর জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অসম রাইফেলস, সেনাবাহিনী। রাজ্য পুলিশও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে চারিদিক। বুধবার রাতে বেশ কয়েক জনকে এই হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মণিপুরের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি।