শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গাঁদা ফুলের নাম করে বাড়িতে নিষিদ্ধ গাঁজা(Cannabis cultivation) গাছের চাষ। আর সেই খবর পেয়েই হানা দিল পুলিশ। এরপরই সেই বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ২৮ কিলো আলামত। গাঁজা গাছের ডালপালা সমেত পুরো বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে সেই বাড়ির মালিকের এখনও খোঁজ চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (south 24 pargana) জীবনতলা থানার গাতী এলাকার ঘটনা। তল্লাশি চলছে বাড়ির মালিকের। 


সূত্রের খবর, গতকাল পুলিশের কাছে খবর আসে যে, জীবনতলা থানার অন্তর্গত গাতীতে জগন্নাথ গ্রামের নারায়ণ দাসের বাড়িতে গাঁজার চাষ হচ্ছে। পুলিশের কাছে খবর আসে যে তাঁর বাড়িতে আনুমানিক ১ কাঠা জমির ওপর গাঁজার চাষ করা হচ্ছে। এরপরই পুলিশ সেখানে গিয়ে খোঁজ চালায়। তবে বাড়িতে ছিলেন না সেই সময় নারায়ণ দাস। কিন্তু সেই সময় বাড়ির সামনে উঠোনে তাকাতেই চক্ষু চরকগাছ সবার। প্রায় ১ কাঠা জমির ওপর চলছে বেজায় বেআইনি গাঁজা চাষ। এরপর আইন অনুযায়ী সমস্ত নিয়ম মেনে ওই গাছগুলোকে কেটে নিয়ে আসা হয় থানাতে। পলাতক ব্যক্তিকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।


কিছুদিন আগেই, রাজ্যের অন্য প্রান্তে বেলদা থানা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিনজন গাঁজা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল। ঘটনায় জানা গেছে ওই তিনজন যুবক খড়্গ পুরের বাসিন্দা। তারা বাইকে চড়ে ওড়িশার দিকে যাচ্ছিলেন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। জাতীয় সড়কের শসিন্দার কাছে বাইক আটকে তল্লাশি চালালে তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় লক্ষাধিক টাকার গাঁজা। তারা এই গাঁজা কোথায় নিয়েছিল বা তাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বেলদা থানার পুলিশ। একটি মোটর বাইক ও আটক করেছে পুলিশ। এবং বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় বাইক চুরি হচ্ছিল এবং সেই বাইক চুরি ঘটনার সঙ্গে এই তিনজন দুষ্কৃতকারী যুক্ত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বলদা থানার পুলিশ।


এর আগেও টুপিতে গাঁজা লুকিয়ে জেলের ভিতরে পাচার করছেন কারারক্ষী! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে! অভিযুক্ত কারারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে ১২ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।