রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষিত হল তৃণমূলের শহর সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাম। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে অধীর চৌধুরীকে উৎখাতের হুঙ্কার দিয়েছেন নব ঘোষিত চেয়ারম্যান। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।


জল্পনার অবসান। বহরমপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষিত হল নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাম। চেয়ারম্যান পদে, বহরমপুরে তৃণমূলের শহর সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই, পার্টি অফিস চত্বরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন কর্মীরা।  


বহরমপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে, প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান ও নির্দল প্রার্থী নীলরতন আঢ্যকে হারিয়ে জয়ী হন নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে থেকে শুরু করে, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত, দফায় দফায়, বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ান তিনি। 


ভোটের দিন বহরমপুরের খাগড়া অঞ্চলে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির গাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। এবার চেয়ারম্যানের কুর্সিতে বসানো হল তাঁকে। দায়িত্ব পেয়েই, বহরমপুরের একটানা ২৩ বছরের কংগ্রেস সাংসদ, অধীর চৌধুরীকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। 


বহরমপুর পুরসভার নব ঘোষিত চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, অধীর চৌধুরী যেভাবে বহরমপুর শহরটাকে দখলে রেখে উন্নয়নের স্বাদ না দিয়ে, সরকারের সুবিধা যাতে মানুষ না পায়, তার জন্য যে নেতিবাচক রাজনীতি করে গিয়েছিলেন সেখান থেকে মানুষ তার রায় দিয়ে গণতন্ত্রের সদর্থক রাজনীতির পরিচয় দিলেন। এবার লক্ষ্য অবশ্যই ২০২৪। বহরমপুরের মানুষ দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলের জন্য এই রায় দিয়েছে।


মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ২০২৪ এখন অনেক বাকি। তার আগে ২০২২, ২০২৩ আছে। তিনিও থাকবেন। আমরাও থাকব। বহরমপুরের মানুষও থাকবে। বাংলায় প্রবাদ আছে, বামন বলে পথবাতিতে হাত দিয়ে চাঁদে দিলাম হাত।


২৮ ওয়ার্ডের বহরমপুর পুরসভায় এবার ২২টি আসনে একাই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ৬টি আসন।