সনৎ ঝা, দার্জিলিং: কপ্টার দুর্ঘটনার চারদিন পর রাজ্যে এসে পৌঁছল প্রয়াত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সতপাল রাইয়ের কফিনবন্দি দেহ। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন সতপাল। তিনিও দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন। তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দার্জিলিঙের তাকদার বাড়িতে। পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য।


আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত ও প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। ব্যাঙডুবি বিমানঘাঁটিতে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর সেনাবাহিনীর শববাহী শকটে মৃত সেনাকর্মীর দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকদায় গ্রামের বাড়িতে। আগামীকাল শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।


৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর কুন্নুরে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জেনারেল রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সতপাল রাই। 


এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিংহ, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, হাবিলদার সৎপাল রাই। হেলিকপ্টারটি চালাচ্ছিলেন উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিংহ চৌহান। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় সেনা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে প্রথমে ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুর কম্যান্ড হাসপাতালে।


সতপাল রাইয়ের দেহ তাকদার বাড়িতে ফেরার অপেক্ষায় ছিল পরিবার। গতকাল তাকদার বাসিন্দা মৃত সেনাকর্মীর পরিবারের দাবি, দেহ সনাক্তকরণে সমস্যা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পরিবারের ক্ষোভ ছিল, মৃত্যুর পর চারদিন কেটে গিয়েছে। দেহ না ফেরায় শেষকৃত্যের দিন স্থির ও পারিবারিক প্রথা পালন করা যাচ্ছিল না। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে দ্রুত দেহ ফেরানোর আবেদন জানায় মৃত সেনাকর্মীর পরিবার। অবশেষে আজ দেহ এসে পৌঁছল।