বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: ভুয়ো ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড (Fake Aadhar and Voter Card) সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল নেপালের এক যুবক। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি থানার ডিআইবি দফতরে। ধৃতের নাম গোপাল খরকা (৩৪)। সে নেপালের ঝাপা জেলার মেচি নগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গোপাল খরকা ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার সহ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই মতো গতকাল নকশালবাড়ি থানায় পাসপোর্টের যাবতীয় নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য আসেন তিনি। কিন্তু ডিআইবি দফতরের আধিকারিকদের তার নথিপত্র নিয়ে সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসে। তার কাছ থেকে নেপালের পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। শিলিগুড়ি মহাকুমা এলাকার নকশালবাড়ির ফাকনাজোতের এক আদিবাসী দম্পতিকে বাবা-মা বানিয়ে দাললের মাধ্যমে সে বছর দুয়েক আগে ভোটার ও আধার কার্ড বানিয়ে ফেলে, তারপর নেহাল রাউতিয়া নামে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (DIB) দফতরে নথিপত্র যাচাই করতে এসে ধরা পড়ে যায় গোপাল। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নকশালবাড়ির DIB (ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স অফিসার)। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের কী উদ্দেশ্য ছিল, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


কিছুদিন আগে জাল ড্রাফটের তদন্তে নেমে ভুয়ো আধার ও প্যান কার্ড বানানোর চক্রের হদিশ পেয়েছিল পুলিশ।  ধৃতের বেহালার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সরকারি দফতরের রবার স্ট্যাম্প। এই চক্রে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখছিল আলিপুর থানার পুলিশ।









ধৃতকে জেরা করে শিবশঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। শিবশঙ্করের গাড়ি থেকে উদ্ধার একটি ২ কোটি টাকার জাল ড্রাফট। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে নওশাদ আলম নামে আর এক ব্যক্তির নাম। 


এরপরই নওশাদকে গ্রেফতার করে আলিপুর থানার পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বেহালার বাড়িতে।