কলকাতা: 'ভোট এলেই কেন বারবার পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee Injury)? বার বার পায়ে আঘাত মানেই শুভ লক্ষণ নয়,' কটাক্ষ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। এতেই শেষ নয়। বললেন, 'জানেন সবথেকে বড় চোট কোথায়, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার কথা ছিল'। তবে একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সুকান্ত। কার্যত একসুর শোনা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের (Mohammed Salim) গলায়। বললেন, 'মাটিতে পা রেখে চলতে শিখুন। নির্বাচনের আগে দুর্ঘটনা কেন হয়?'


ফিরে দেখা...
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের সময়ও আঘাত পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নির্দিষ্ট করে বললে, ২০২১ সালের ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচনী প্রচারে একচুলও ভাঁটা পড়েনি। হুইলচেয়ারে বসেই জেলায় জেলায় প্রচার শুরু করেন মমতা। তৃণমূলনেত্রীর মুখে হুঙ্কার শোনা গিয়েছিল, 'পা সেরে যাবে! ভোটের পর বাংলায় কারা পা রাখবে দেখবো!' পাল্টা বাঁকুড়ার সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কটাক্ষ করেন, 'তৃণমূল বলছে চক্রান্ত করে হামলা! কে জানে সত্যিটা কী?' পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ও কোমরে আঘাত লাগায় রাজনৈতিক মহলে এখন নানা রকম জল্পনা। মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। 


কী ভাবে চোট...
এদিন অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার। মাঝ আকাশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়ে কপ্টারটি! সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করালেন পাইলট।কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমর ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্য়ে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। দুটি জায়গার মধ্যে সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কপ্টারে যেতে মেরেকেটে ১৩মিনিট সময় লাগে। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজোলডোবার কাছে পৌঁছে আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে গতিপথ একেবারে ঝাপসা হয়ে যায়। নীচে তখন বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল। সেখানে কপ্টার নামানোর কোনও সুযোগ ছিল না। বিপদ বুঝে বাগডোগরার দিকে না এগিয়ে কপ্টার ঘুরিয়ে নেন পাইলট। শিলিগুড়ির দিকে আকাশ অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার থাকায় সেদিকে এগিয়ে যায় কপ্টার। সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করানো হয়। জরুরি অবতরণের কারণে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমর ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কী হয়েছে বিশদে জানেন। তবে আপাতভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক আছেন দেখে, নিশ্চিত হন তিনি। পরে, সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসেন। আপাতত এসএসকেএমে রয়েছেন তিনি। হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে, হতে পারে এমআরআই।  


আরও পড়ুন:তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে দেড় কেজি বোমার মশলা 'উদ্ধার', ধৃত প্রার্থীর স্বামী