কলকাতা : পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। "কলকাতার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে, বাকি নির্বাচন কবে হবে ?" রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি।
এপ্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান, "ন্যূনতম কত দফায় এই ভোট করা হবে ? আপনারা ইভিএমের সংখ্যা জানিয়েছেন। তাহলে কত দফায় ভোট হবে জানাচ্ছেন না কেন ? বকেয়া ভোটের দিন ঘোষণা কি আপনাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব নয় ?" হাইকোর্টে কমিশন জানায়, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ভোটের দিন স্থির হয়।
আদালতের তরফে আগামী সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, বাকি যে পুরসভাগুলির ভোট বকেয়া রয়েছে, সেখানে তারা কবে ভোট করাতে চায় বা কী পরিকল্পনা রয়েছে। কত দফায় ভোট করাতে চায়। এর পাশাপাশি কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করাতে গেলে প্রায় ৩০ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। কিন্তু, কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে ১৫ হাজারের থেকে বেশি কার্যকরী ইভিএম রয়েছে।
এখানে হাইকোর্টের বিচারপতি জানতে চান, যখন অর্ধেকের বেশি ইভিএম রয়েছে, তখন দুই দফায় ভোট করাতে অসুবিধা কোথায় ? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সমস্ত উত্তর নিয়ে আদালতে জানাবেন তিনি।
স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন করানো কমিশনের দায়বদ্ধতা। তাদেরই এগিয়ে এসে বলতে হবে এক্ষেত্রে কী পরিকল্পনা রয়েছে। এমনই পর্যবেক্ষণ আদালতের। এনিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তারা আলোচনা করছে বলে জানায় কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানতে চায়, এই আলোচনা করতে আর কতদিন লাগবে ? সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিনই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে বাকি পুরসভার ভোট কবে হবে।