রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানা এলাকার মহিষমারি গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় মাঝরাতে আগুনে পুড়ে গেল ১০টি ঘর। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ল ৭টি পরিবার। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয় একজন জখম হন। স্থানীয়দের দাবি, মশা মারার কয়েল থেকে আগুন লেগে যায়। একে একে আগুনের গ্রাসে চলে যায় ১০টি ঘর। সংকীর্ণ রাস্তায় ঢুকতে পারেনি দমকলের গাড়ি। ফলে দমকলের (Fire Tenders) ইঞ্জিন ফিরে যায়। স্থানীয়রাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝরাতে আগুন লাগে। তখন কার্যত গোটা পাড়া ঘুমে আচ্ছন্ন। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সেই সময়। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ঘিরে ফেলতে শুরু করে একের পর এক বাড়ি। ঘটনার পরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে স্থানীয়রাই নেমে পড়েন আগুন নেভানোর কাজে। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলেও মহিষমারি গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় যেখানে আগুন লেগেছিল, সেই জায়গাটি সরু গলিতে হওয়ায় ঢুকতে পারেনি দমকলের গাড়ি। আতঙ্কের রেশ যাতে আরও বাড়ে। এর মাঝেই আগুনের হাত থেকে বাঁচতে এলাকার বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলেও ৭ পরিবারের ১০ টি ঘর কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয়রাই আগুন নিভিয়ে ফেললেও তাতে একজন আহত হন। একটি গবাদি পশুও মারা যায়। মশা মারার কয়েল থেকেই আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। 


এদিকে, এদিনই কলকাতার (Kolkata) গড়িয়ার (Garia) ব্রহ্মপুর বটতলা বাজারের কাছে কাঠের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ব্রহ্মপুরের ওই কাঠের গুদামে আগুন লাগে। প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গুদাম। আশেপাশে অনেক বাড়ি ও দোকান থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


দিনকয়েক আগেই উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে বিধ্বংসী আগুন (Fire) লাগে। ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ১৬টি বাড়ি, আহত ৫ শিশু। আহত শিশুদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।          


আরও পড়ুন- বাঁশ, লোহার রড দিয়ে আক্রমণ, পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে তপ্ত মিনাখাঁ