আব্দুল ওয়াহাব, উত্তর ২৪ পরগনা : রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। নির্বাচনের দামামার মাঝেই চড়ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাও। ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ (ISF) সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মিনাখাঁ। দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়েছিল। লোহার রড, বাঁশ নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে গেলেন দুই দলের সমর্থকরা। যে ঘটনার জেরে মাথা ফেটেছে দু'জনের।  আহত হয়েছেন মোট পাঁচ জন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয়েছে তদন্তও। তবে সংঘর্ষের জেরে গোটা এলাকার পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনাখাঁর কুমারজল পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি দরগার কাছে দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যে বচসাই গড়ায় হাতাহাতিতে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই দলের সমর্থকরা একে অপরকে আক্রমণের জন্য বাঁশ, লোহার রড বের করায়। প্রবল সংঘর্ষের জেরে জনা পাঁচেক সমর্থক আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু'জনের মাথা ফেটেছে। তাঁরা আইএসএফের কর্মী বলেই দাবি। ঘটনার পর আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ হাসপাতালে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মিনাখাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। 


আরও পড়ুন- ‘না হলেই ভাল হত’, তৃণমূলে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব! ফিরহাদ পাশে পেলেন তাপসকে


দিন দুয়েক আগেই হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের (Jagatballabpur) পোলগুষ্টিয়ায় আইএসএফ(ISF)-তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তালপুকুর বাজারের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অফিসের (TMC Party office) বাইরে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। পাতিয়ালে ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddiqui) কর্মিসভা ছিল। কর্মিসভার পরেই হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কর্মিসভার পর বোমাবাজি, গুলি চালায় আইএসএফ কর্মীরাই, পাল্টা দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের।


প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ভাঙড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে। দফায় দফায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ বাঁধে। ইটবৃষ্টি, বোমা ও গুলি চলার অভিযোগ। ভাঙল বিধায়কের গাড়ি, পুড়ল তৃণমূলের পার্টি অফিস। বিকেলে সেই আঁচ পৌঁছে যায় কলকাতায়। রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় ধর্মতলা। যে ঘটনার জেরে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছিল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে। যে গ্রেফতারি ও তারপর জামিন সংক্রান্ত জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত।