বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: সামান্য বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি, বচসা। তার জেরে বাবার মাথায় বাঁশের বাড়ি মারলেন ছেলে। তাতে বেঘোরে মৃত্যু বৃদ্ধের (Elderly Man Dies)। রাত বিরেতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তমলুকে (Tamluk News)। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। খুনে প্ররোচনা দওয়ার অভিযোগে বৃদ্ধের বড় ছেলে এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


ছেলের মারে বাবার মৃত্যু!


পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur News) তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত খারুই গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তিকে ৬৬ বছরের মোহন দাস হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। অভিযুক্ত তাঁর ছোট ছেলে সন্টু দাস। দেউলিয়ায় একটি হোসিয়ারি কারখানার কর্মী তিনি। বৃদ্ধের বড় ছেলে জগন্নাথ দাস, কাঠ পালিশের কাজ করেন। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Crime News)। 


স্থানীয় সূত্রে -জানা গিয়েছে, উনুন ধরানোকে কেন্দ্র করে রবিবার ছোট বউমার সঙ্গে বচসা বাঁধে শ্বশুর মোহনের। রাতে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন সন্টু। তা নিয়ে বাবার সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় তাঁর। বাবা-ছেলের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। সেই সময়ই, রাত ১১টা নাগাদ বাঁশ দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করেন সন্টু। আঘাত পেয়ে তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে যান মোহন। 


আরও পড়ুন: Katwa News: সরকারি প্রকল্পের নামে প্রতারণা, ২ নেত্রী ও তৃণমূল কর্মীকে আটকে রাখল গ্রামবাসী


এর পর, প্রথমে কাঁকটিয়া প্রাথমিক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় মোহনকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হল তমলুক জেলা হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার সকালে মারা যান মোহন। রবিবার রাতে বাবাকে আঘাত করার পর থেকেই রাতেই সন্টু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গা  ঢাকা দেন বলে খবর।


মৃত মোহনের তিন ছেলে। সন্টু ছিলেন সবার ছোট। বড় দাদা জগন্নাথ এবং তাঁর স্ত্রীই সন্টুকে উস্কানি দেন বলে অভিযোগ পরিবারের। সেই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোহনের মেজো ছেলে, পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করা কালিপদ দাস। তাতে মোহনের বড় ছেলে এবং বৌমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


কড়া শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের


এলাকাবাসীর দাবি, ওই পরিবারে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। রবিবার রাতে তুমুল গন্ডগোল বাধে। তাতেই বাড়ির সামনে দাঁড় করানো বাঁশ দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করেন সন্টু। সোমবার সকালে জমায়েত করে ওই বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। প্রকৃত দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।