পূর্ব মেদিনীপুর: কিছুদিন আগেই সমস্ত দীর্ঘদিনের জল্পনার অবসান  ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।  তৃণমূলের এই সদ্য প্রাক্তন নেতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী কাঁথির তৃণমূল সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি। শুভেন্দুর এক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। আরেক ভাই সৌম্যেন্দু কাঁথির পুরসভার প্রশাসক, গতকাল যাঁকে পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। এরইমধ্যে তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে শুভেন্দু গতকাল খড়দার সভায় বলেছিলেন,  আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।

মঙ্গলবার খড়দার সভা থেকে এই মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই দিনে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দুকে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দুর আরেক ভাই তথা তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু। এই উথালপাথালের ২৪ ঘণ্টা পর, বুধবারই কাঁথির শান্তিকুঞ্জ অর্থাৎ অধিকারী বাড়িতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। ঘণ্টা দেড়েক এখানে ছিলেন তিনি। মাহাতো জানিয়েছেন, বাড়ির সবার সঙ্গে কথা হয়েছে, শিশির অধিকারীর সঙ্গেও কথা হয়েছে।

বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে অধিকারী পরিবার। তবে এনিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল।যুব তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেছেন, বিজেপি ঘোলাজলে মাছ ধরতে বেরিয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে ভাঙিয়ে এগোতে চাইছে ওরা।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, তৃণমূল কাঁথিতে সভা করলেও, সেখানে দেখা যায়নি তাঁর পরিবারের কাউকে। ফলে আগামীদিনে তাঁরা কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।