একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য শাসক ও বিরোধী- উভয় শিবিরের প্রচার আপাতত তুঙ্গে। ফ্লেক্স-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে সর্বত্র। গেরুয়া শিবিরের বানান কিন্তু ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও যা নিয়ে চর্চা চলছে। সম্প্রতি বিজেপির এক ফ্লেক্সে এরকমই এক ভুল বানান চোখে পড়ে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর। যিনি নিজে বেশ সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর ওপর দেওয়া রয়েছে একাধিক দায়িত্ব। সেই তিনিই এবার ভুল বানান দেখে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন।
বিজেপি নেতাদের দন্ত-ন এবং মূর্ধণ্য-ণ-এর পার্থক্য বোঝালেন সোহম। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি এক প্রচার সভায় মমতা সরকার শাসিত বাংলায় ‘গনতন্ত্র’হীনতার দাবি করেছিল বিজেপি। তবে ওই বানানেই গন্ডগোল! সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ট্যুইটার প্রোফাইলের কভারে ওই প্রচারসভার ছবি দিয়েছিলেন। যেখানে জ্বলজ্বল করছে পিছনের ব্যানার। তাতে লেখা- ‘অপশাসন হাটাও, গনতন্ত্র বাঁচাও’। এই ছিল বানান। তা চোখে পড়ে সোহম চক্রবর্তীর। তিনি বাংলায় লিখে ট্যুইট করেন, ‘গণতন্ত্র তো মানেন না, অন্তত শব্দের বানানটা তো ঠিক করে লিখতে পারতেন’। সঙ্গে বাংলার বিজেপিকে ট্যাগ করেন তিনি। আর লজ্জায় মুখ ঢাকার ইমোজি দেন।
এর আগে বাংলা বানান নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপি। তাদের সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বিলি করা লিফলেটে ‘সদস্যতা অভিযান’ লেখা নিয়ে সমালোচনা হজম করতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলা ট্যুইটেও বানান ভুল ছিল বলে প্রশ্ন উঠেছিল। গেরুয়া শিবিরের ফ্লেক্স-ব্যানার হোক কিংবা তাঁদের নেতামন্ত্রীদের মন্তব্য থেকে উচ্চারণ, বাংলার সংস্কৃতিকে অনেকাংশেই অপভ্রংশের অভিযোগ তুলেছে শিক্ষিতমহল। এবার সেই বিষয়েই গেরুয়া শিবিরকে পাঠ পড়ালেন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সোহম চক্রবর্তী।