নয়াদিল্লি: যানজট নিয়ে এমনি দিনেই নাজেহাল অবস্থা হয়, তায় আবার বৃষ্টি-বাদলের দিন। তাও ধৈর্য ধরে টানা দু'ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যানজট খোলার অপেক্ষা করছিলেন সকলে। কিন্তু আশার আলো না দেখতে পেয়ে, শেষ পর্যন্ত বাড়ির উদ্দেশে হাঁটা লাগালেন তাঁরা। অফিসের গাড়ি, গণ পরিবহণের বাস, অটো তো বটেই, প্রাইভেট গাড়িও দাঁড়িয়ে রইল রাস্তায়, রাস্তার পাশে। এমন বেনজির পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা দেয়নি বলে দাবি টেক-সিটির স্থানীয় বাসিন্দাদের। (Bengaluru Traffic Jam)


বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। এমনিতে রোজই যানজটে সেখানে হিমশিম খেতে হয় কর্মরত মানুষজনকে। গতকাল আবার ভারী বৃষ্টি হয়ে, যার ফলে ইলেকট্রনিক্স সিটি ফ্লাইওভারের একটি দিক বন্ধ করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। সেই পরিস্থিতিতে অফিস থেকে বেরিয়ে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। (Bengaluru Rains)


স্থানীয় সূত্রে খবর, টানা দু'ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে ছিলেন মানুষজন। একচুল আগে বা পিছনে যাওয়ার জো ছিল না। ঠায় সেভাবে বসে থাকতে থাকতে মেজাজ হারান অফিস ফেরত মানুষজন। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর কহাঁতক যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা যায়? তাই রাগে, হতাশায়, গাড়ি থেকে নেমে আসেন অনেকে। রাস্তার পাশে রেখে বাড়ির উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করেন। 



সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দৃশ্য পোস্ট করেছেন অনেকেই। রাস্তায় সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ছবি এবং ভিডিও-তে। অটো, বাস থেকে নেমেও হাঁটা লাগান বহু মানুষ। প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন যাঁরা, হতাশ চেহারায় গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লেখেন, '৩ কিলোমিটার যেতে যানজটে আটকে ২.৫ ঘণ্টা। ভাঙাচোরা ফুটপাত ধরে হেঁটে ফিরতে সময় লাগল ৪৫ মিনিট। অন্তত শরীরচর্চাটুকু হল'। আর একজন লেখেন, 'চরম বিশৃঙ্খলা। জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পৌঁছনোর জন্য বেরোলে, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা। অথচ আড়াই ঘণ্টা ধরে এক তিল নড়াচড়া করা যাচ্ছে না'।


একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায় বেঙ্গালুরুতে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আবার ালগাতার বৃষ্টি চলছে সেখানে। এর ফলে বানভাসি হয়ে গিয়েছে টেক-সিটির। সম্প্রতি একিট বাড়িও ভেঙে পড়ে। এমন পরিস্থিতি স্কুল বন্ধ রয়েছে সেখানে। বহু সংস্থার কর্মীরা 'ওয়র্ক ফ্রম হোম' করছেন।