ইন্দোর : কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে (Congresss Leader Rahul Gandhi) হুমকি চিঠি (Threat Letter)। বোমা মারার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই এই হুমকিপত্র পেলেন কংগ্রেস নেতা। ইতিমধ্যেই যাত্রা ইন্দোরে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, সেখানে জুনির একটি মিষ্টি দোকানে হুমকিপত্র পাঠানো হয়েছে।


এদিকে খবর পেয়ে তদন্তে শুরু করেছে ইন্দোর পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অভিযুক্ত ব্যক্তি যিনি মিষ্টির দোকানে ওই চিঠি রেখে যান, তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। জুনি ইন্দোর থানা এলাকার প্রায় সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আগামী ২৪ নভেম্বর ইন্দোরের খালসা স্টেডিয়ামে রাতে বিশ্রাম নেবেন রাহুল। পুলিশ সূত্রের খবর, কোনও দুষ্কৃতী সম্ভবত এই কাজটি করেছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।


হার্দিকের খোঁচা-


এদিকে রাহুলের ভারত জোড়া যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সদ্য কংগ্রেস ত্যাগ করা হার্দিক পটেল। গত জুন মাসেই তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি বলেন, 'ভারত জোড়া' নয়, রাহুলের 'কংগ্রেস জোড়ো' যাত্রা করা উচিত।


ভোটমুখী গুজরাতে রাহুলের ভারত জোড়া যাত্রা নিয়ে হার্দিককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ভারত জোড়া যাত্রার থেকে কংগ্রেসের প্রথমে কংগ্রেস জোড়া যাত্রা করা উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাহুল ভোটের আগে আসবেন না পরে ? কংগ্রেসকে এখানে কোনও জায়গা দিতে চায় না মানুষ।" তাঁর সংযোজন, "আমি কংগ্রেসে ছিলাম। তাই এটা জানি যে, কংগ্রেস সবসময় গুজরাতিদের অপমান করে। এবং গুজরাতের পরিচিতি ও গর্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। গুজরাতের মানুষ কখনোই কংগ্রেসকে গ্রহণ করেনি। আগামী দিনেও গ্রহণ করবে না। কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কোনও তুলনা বা লড়াই চলে না। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, উন্নয়নের মডেলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।"


গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়। মোট ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটারের মধ্যে আরও ২ হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। পরের বছর কাশ্মীরে এই যাত্রা শেষ হবে।


কংগ্রেস এর আগে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ভারতের কোনও রাজনীতিকের পক্ষে হেঁটে সবথেকে দীর্ঘ পথের যাত্রা এটি। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের সমর্থন আদায় করে নিয়েছে ভারত জোড়া যাত্রা। প্রতিদিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।


আরও পড়ুন ; ৩ দশক পার, রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তি নলিনী শ্রীহরণের