ভোপাল: এক মহিলা স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছেন যাতে তিনি নিজের গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে পারেন। তাও আবার বিয়ের তিন বছর পর! এই অবাক হওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে।
বলাই বাহুল্য, স্ত্রী যাতে নিজের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে পারেন, সেজন্য স্ত্রী নিজে থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন, এমন ঘটনা তো আর সচরাচর ঘটে না। কেন এমন হল, জানতে চাওয়ায় ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় নিযুক্ত আইনজীবী জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চাইছিলেন। কিন্তু সেটা আইনত সম্ভব নয়। তবে ভদ্রমহিলা অত্যন্ত পরিণতমনস্কতা, উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। স্বামী যাতে তাঁর কাঙ্খিত প্রেমিকাকে বিয়ে করে নতুন সংসার পাততে পারেন, সেজন্য তিনি ডিভোর্স দিতে চেয়েছেন।


মনে হতেই পারে ঘটনাটি বুঝি ঐশ্বর্য রাই, সলমন খান, অজয় দেবগণ অভিনীত সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর একটি অন্য রকম ভার্সান! স্ত্রীর স্বামীর ওপর নিজের অধিকার দ্বিতীয়জনের প্রেমিকার হাতে ছেড়ে দেওয়ার এমন বিরল নজির বাস্তবে ঘটল। নেট দুনিয়ায় খবরটি ভাইরাল হওয়ায় স্বামীর মনোবাঞ্ছা পূরণে মহিলার আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন অনেকে। একজন লেখেন, ঈশ্বর সব পুরুষকে যেন এমন পরিণতমনস্ক স্ত্রী দেন। আরেকজন লেখেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে, তিনজনেরই জীবনে অশান্তি হয়, এমন কিছু না করে বরং বুদ্ধি-বিবেচনাবোধেরই পরিচয় দিয়েছেন ভদ্রমহিলা। তৃতীয় একজনের প্রতিক্রিয়া, আশা করি , ভদ্রমহিলা নিজেরও একজন যোগ্য সঙ্গী পাবেন। বিবি হো তো অ্যায়সি, লেখেন আরেকজন।
গত জুলাইয়ে মধ্যপ্রদেশের বেতুল থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে ঘোড়াডোঙ্গরি ব্লকের কেরিয়া গ্রামে একসঙ্গে একই মন্ডপে দুজন মহিলাকে বিয়ে করেন এক বিবাহিত ব্যক্তি। তিন পক্ষের পরিবারের লোকজন, গ্রামবাসী, বন্ধুবান্ধবদের সামনেই যাবতীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয়।