এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলেরও দাবি, এনআরসি নিয়ে দেশের শাসকরা যেমন পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন, তাতে তাঁর আশঙ্কা, মোদী-শাহের কথা বন্ধ। তিনি বলেছেন, তাঁর সামনে সংসদে অমিত শাহ বলেন, দেশজুড়ে এনআরসি চালু করবেন তাঁরা। অথচ প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, এনআরসি নিয়ে কথাই হয়নি।
গত বছর বিজেপিকে সরিয়ে ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল সুপ্রিয়া সুলের সুরেই বলেছেন, অমিত শাহ বলছেন, এনআরসি চালু হবে আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন, হবে না। এখন প্রশ্ন, কে সত্যি বলছেন, আর কে মিথ্যে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি সত্যি বলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তাঁর কথা সত্যি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা চলছে বলে তাঁর দাবি। তাঁর বক্তব্য, জিনিসপত্রের দাম এত বেড়ে গিয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে কিন্তু তা নিয়ে কেউ কথাই বলছে না। সবার সব কথা নাগরিকত্ব নিয়ে। আপনি ভারতের নাগরিক কি না এই প্রশ্নই আপনার সব থেকে বড় অপমান। এরা প্রশ্ন করছে, আপনার বাবা মায়ের জন্মতারিখ কত। কতজনের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে?
তাঁর বক্তব্য, ছত্তিশগড়ের বিরাটসংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেন। তাঁদের কাছে জমি নেই, বাবা মা নিরক্ষর। কখনও স্কুল যাননি যাঁরা তাঁরা কীভাবে প্রমাণ করবেন বাবা মায়ের জন্মতারিখ? প্রমাণ করতে না পারলে সরকার দয়া করে বলবে, ভারতীয় থাকার জন্য আবেদন কর। অসমে এনআরসি হয়েছে, তাতে সেখানকার মানুষই সমস্যায় পড়েছেন। বেশ কয়েকজন নামী নেতার নাগরিক তালিকায় নাম ওঠেনি, বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার দায় নিয়েও বাঘেল প্রশ্ন তুলেছেন।