নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে আজ কোনও ভোটাভুটি হচ্ছে না। এক বিবৃতিতে ইউ জানিয়েছে, তা মার্চের প্লেনারি সেশন পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় কূটনীতিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে পাকিস্তানি কূটনীতিকদের পরাজিত করেছেন, ফলে পরিস্থিতি এখন দিল্লির পক্ষে।


ইউ পার্লামেন্টের ৫টি সদস্য দেশ আলাদা আলাদা প্রস্তাব এক সঙ্গে এনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এই যুগ্ম প্রস্তাবটি আনে। ব্রাসেলসের প্লেনারি সেশনে এ নিয়ে বিতর্ক হয়। এ নিয়েই আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির কথা ছিল কিন্তু তা আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি আনেন ইউ পার্লামেন্টের পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সদস্য সাফাক মহম্মদ। ইনি আবার ইমরান খান সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ইউ-তে ভারত বিরোধী প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য নিয়মিত চেষ্টাচরিত্র করেন ইনি। কিন্তু দিল্লির পক্ষ সমর্থন করেন দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য দীনেশ ধামিজা ও নীনা গিল। তাঁরা বলেন, সিএএ ও এনআরসি নিয়ে মিথ্যে প্রচার চলছে। ফরাসি সদস্য অঁরি মারিয়ানিও বলেন, এই প্রস্তাব উত্যাপনের পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে, অন্যান্যরা বলেন, এই চেষ্টা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো ছাড়া কিছু নয়।

প্রস্তাব না ওঠায় সাফাক ও আর দু’জন সদস্য অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব আইন অত্যন্ত বৈষম্যমূলক কিন্তু ভারতীয় কূটনৈতিক চাপে ইউ ধসে পড়েছে, মানবাধিকারের থেকে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ব্যবসায়িক স্বার্থকে, সে কারণেই পিছিয়ে দেওয়া হল ভোটাভুটি।