আধুনিক জীবনযাত্রার সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর। বেশি কাজের চাপ নিলে টেনশন হয়ে ওঠে নিত্য সঙ্গী। আর টেনশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বহু অসুখ। আজকালকার দিনে যে সব রোগ দেখা যায়, সেগুলির বেশিরভাগের পিছনেই এই টেনশন মুখ্য কারণ। তাই ৪০ ছুঁলেই শরীরস্বাস্থ্যের আর একটু বেশি যত্ন নেওয়া শুরু করুন। বদলে ফেলুন জীবনচর্যা বা লাইফস্টাইল। মর্নিং ওয়াক অত্যন্ত জরুরি, হাড় ভাল থাকে। আর তার সঙ্গে যদি কিছুটা ব্যায়াম করতে পারেন, তা আরও ভাল।
এই বয়সে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর রাখা জরুরি। তেল কম খাওয়া শুরু করুন। বেশি করে খান সবুজ শাকসব্জি, কমান জাঙ্ক ফুডের প্রতি টান। দুধ খেতে শুরু করুন নিয়ম করে। এতে শরীরে ভিটামিন ডি ঢুকবে যা হাড়গোড়ের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। খাওয়ার সময়েও নজর দিন, বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। যে সব ফলে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বেশি, তা বেশি করে খান। সঙ্গে নজর রাখুন, শরীরে যাতে প্রোটিন ঠিকমত ঢোকে।
এই মাঘে রোদ্দুর উঠছে চমৎকার। রোদ বহু রোগ সারাতে পারে। আর সূর্যালোক তো ভিটামিন ডি-র সব থেকে ভাল উৎস। তাই রোজই আমাদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও রোদে বসা উচিত, এতে হাড় শক্ত হয়। বিশেষ করে ভোরবেলা গায়ে রোদ লাগানো শরীরের পক্ষে সব থেকে ভাল। রোদে বসে পা আর শরীরের গাঁটে মালিশ করুন। এতে হাড়ের সমস্যা কমবে, কমবে ব্যথা বেদনা।