পটনা : দেশের দীর্ঘতম নির্মীয়মাণ সেতুতে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ব্রিজ ভেঙে একজনের প্রাণ গেল, আহত হলেন ৯ জন । বিহারের সুপৌলের বকোরে কোশী নদীর ওপর ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম সেতু, যার দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটারেরও বেশি। সেখানেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। নির্মীয়মাণ সেতুতে গার্ডার লাগানোর সময় ঘটে যায় বিপত্তি।
সূত্রের খবর, ৫০, ৫১ ও ৫২ নম্বর পিলারের মাঝে ভেঙে পড়ে গার্ডার। ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পে সেতু নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে গ্যামন ট্রানস্লেট কোম্পানি। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওই সংস্থার কর্মীরা পলাতক বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য নির্মাণকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে বিহার সরকার।
আশঙ্কা করা হচ্ছে ভেঙে পড়া চাঙড়ের তলায় বহুজন আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ যখন সেতুটি ভেঙে পড়ে, তখন কাজ করছিলেন জনা চল্লিশ শ্রমিক।
আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছেস সুপৌলের জেলাশাসক কৌশল কুমার বলেন, আপাতত একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কমপক্ষে নয়জন আহত।
অনেকেই মোবাইল ক্যামেরায় সেতু ভেঙে পড়ার দৃশ্যটি তুলে রেখেছেন। সমাজমাধ্যমে শেয়ার হয়েছে সেই ছবি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে সেতুটি । এবার কী কারণে সেতু ভেঙে পড়ল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
২০২৩ এ বিহারের ভাগলপুরে ব্রিজ বিপর্যয় ঘটে। ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ কেবল ব্রিজ। নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ কেবল ব্রিজটি। তার আগে ২০২০ সালে, বিহারের গোপালগঞ্জে গণ্ডক নদীর উপর সত্তারঘাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে। উদ্বোধনের ২৯ দিনের মধ্যে ভেঙে পড়ে ব্রিজের একাংশ। উদ্বোধনের ঠিক একমাসের মাথায় জলে ভেসে যায় প্রায় ২৬৪ কোটি টাকায় তৈরি ব্রিজের একাংশ। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বিহারের রাজনীতি। তৎকালীন নীতীশ কুমার ও বিজেপির জোট সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে আরজেডি-কংগ্রেস।
আরও পড়ুন :