নয়াদিল্লি: মৈথিলী ঠাকুর। গোটা দেশ তাঁকে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেই চেনে। গত কয়েক বছর ধরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন । কীভাবে এত ছোট বয়সে এমন সুন্দর গান করেন ! গত জুন মাসে সবে ২৫-এ পা দিয়েছেন। এরপরেই জীবনে মোড়। আর কিছু মাস আগেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিহারের দ্বারভাঙা জেলার আলিগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তারপরেই বাকিটা ইতিহাস। বিজেপির আসনে আরজেডির হেভিওয়েট বিনোদ মিশ্রকে পরাজিত করে, বিপুল ভোটে জয় এনেছেন মৈথিলী ঠাকুর। প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় এনেছেন তিনি। বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনিই বোধহয় সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হতে চলেছেন ! উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৫ সালে বিহারে সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক ছিলেন বছর ছাব্বিশের তৌসিফ আলম।
আরও পড়ুন, BJP এবার বাংলা থেকে জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলবে, হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদির
২০০০ সালের ২৫ জুলাই মধুবনিতে জন্ম মৈথিলী ঠাকুরের। পরে পাকাপাকিভাবে তার পরিবার দিল্লির নজফগড়ে থাকতে শুরু করে। এদিকে সেসময় মৈথিলীর বাবা চাকরি হারান। বলার অপেক্ষা রাখে না, চরম অর্থ কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, মৈথিলীর পরিবারকে। আর্থিক কষ্টের মধ্যে কেবল আশীর্বাদ হয়ে পথ দেখায় সঙ্গীত। কারণ মৈথিলীর বাবা একজন ক্লাসিক্যাল সিঙ্গার। সংসারকে বাঁচাতে তিনি গানকেই বেঁছে নেন। মেয়েকে যত্নের সঙ্গে গান শেখান। তিনিই ছিলেন মৈথিলীর গানের শিক্ষক এবং মেন্টরও বটে।এরপরেই লোকসঙ্গীত বাউলগানে দুই ভাইয়ের সঙ্গে সঙ্গত করতে দেখা যায় মৈথিলীকে। এরপর তিনি ধীরেধীরে সম্পূর্ণভাবে বাবার পথেই পাড়ি দেন। ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল মিউজিক এবং ফোক মিউজিকে মনযোগ দেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন নীতীশ কুমারের এই ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্য়ে সবচেয়ে বড় ফ্য়াক্টর হল মহিলা ভোটব্য়াঙ্ক! যা দশকের পর দশক তাঁর সঙ্গে রয়েছে! মহিলাদের ভরসা নীতীশ...নীতীশের ভরসা মহিলা ব্রিগেড! পরিসংখ্যান বলছে, বিহারে পুরুষ ভোটার ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ,আর মহিলা ভোটার ৩ কোটি ৫১ লক্ষ। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এবার পুরুষরা যেখানে ৬৩ শতাংশ ভোট দিয়েছে..সেখানে মহিলা ভোট পড়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। আর এখানেই নীতীশের জয়ের এক্স ফ্য়াক্টর লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহিলা ভোটারদের মন জিততে, 'মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা'কে প্রধান হাতিয়ার করেছিলেন নীতীশ কুমার।যে প্রকল্পে ভোটের ঠিক মুখে বিহারের ১ কোটি ২১ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকার দিয়েছিলেন তিনি।পাশাপাশি NDA-এর ইস্তেহারে বলা হয়েছিল ক্ষমতায় এলে, ১ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ থাকবে বিহারে। মহিলা উদ্যোগপতিদের কোটিপতি বানানো হবে 'মিশন ক্রোড়পতি'র অধীনে।এরইসঙ্গে ভোটের আগে রাজ্যের সব সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণাও করেন নীতীশ কুমার। এসবেরই হাতেনাতে ফল পেলেন তিনি।