পটনা : কার্যত ভরাডুরির মুখে মহাজোট। কাজে এল না 'ভোটার অধিকার যাত্রা'। বিজেপি ভোট চুরি করছে, এই অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে যাত্রা করেছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু, তা কাজে এল না। শোচনীয় ফলাফল আরজেডিরও। কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল মহাজোট। ম্যাজিক ফিগার পার করে ২০২টি আসনে আসনে এগিয়ে NDA। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। বিহারে ভোট চলাকালীন মহিলাদের যখন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল, সেই সময় কমিশন "নীরব দর্শকের" ভূমিকা পালন করছিল। এমনই অভিযোগ তাদের।
বিহারে কংগ্রেসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক অশোক গেহলৌত বলেন, "বিহারের ফলাফল হতাশাজনক, এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। সেখানে আমি যে ধরনের পরিবেশ দেখেছি - মহিলাদের প্রত্যেককে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল; নির্বাচনী প্রচার চলাকালীনও তা দেওয়া হচ্ছিল... নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। কেন এটা বন্ধ করা হয়নি? এটা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি... এর মানে হল রাহুল গান্ধী ভোট চুরি নিয়ে যা বলেছেন, এটাই ভোট চুরি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, যদি কারচুপি হয়, যদি বুথ দখল হয়, যদি জালিয়াতি হয় এবং অর্থ বিতরণ করা হয় - নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তারা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যোগসাজশ করছে। আজকাল অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে, প্রার্থীদের কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস এবং আরজেডির কাছে টাকা নেই। তাই, গণতন্ত্রের উপর হুমকি তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন জেতা এক কথা, এনডিএ জিতবে এবং সরকার গঠন করবে। মোদিজি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে কংগ্রেসের আদর্শই জাতির স্বার্থে। দেশের কংগ্রেসের প্রয়োজন। তারা (এনডিএ) নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছে।"
কার্যত এনডিএ ঝড়ে মহা ধাক্কা খেল মহাজোট। ধরাশায়ী হল কংগ্রেস। মহিলা ভোট, এসআইআর, সুশাসন, কোন ফ্যাক্টর কাজ করল বিহারের এই ফলে? এই নিয়ে চলছে জোর চর্চা। শেষ পাওয়া ফলাফলের নিরিখে, ২০২টি আসনে বাজিমাত এনডিএ-র। অন্যদিকে, মহাজোটের ঝুলিতে ৩৫টি আসন। অন্যান্যরা ৬।