পটনা: বিহারে উৎসব পরিণত হল বিভীষিকায়। 'জীবিতপুত্রিকা' বা 'জিতিয়া' উপলক্ষে পবিত্র স্নান করতে গিয়ে বিপত্তি বাধল। জলে ডুবে মৃত্যু হল ৪৬ জনের, যার মধ্যে ৩৭ জনই শিশু।। নদী এবং পুকুরের জলে ডুব দিতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। একসঙ্গে, এক জায়গায় এই ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। (Bihar Jivitputrika Tragedy)
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বিহারের ১৫টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বুধবার। সবমিলিয়ে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের দেহই উদ্ধার করা গিয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, এখনও উদ্ধারকার্য চলছে বিভিন্ন জায়গায়। (Bihar Tragedy)
'জীবিতপুত্রিকা' বা 'জিতিয়া' উৎসব পালিত হয় বিহার-সহ হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং পড়শি দেশ নেপালেও 'জীবিতপুত্রিকা' পালিত হয়। এক্ষেত্রে সন্তানের কল্যাণের জন্য উপবাস করেন মহিলারা। এর পর একসঙ্গে নদী বা পুকুরে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান করেন মা ও তাঁর সন্তান। এবারে ওই উৎসব চলাকালীনই বিপত্তি ঘটল।
এই ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। মাথাপিছু মৃতদের পরিবার এবং নিকটজনদের ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আটটি পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের।
এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, বিহারের ওয়েস্ট চম্পারণ, নালন্দা, অওরঙ্গাবাদ, কৈমুর, বক্সার, সিওয়ান, রোহতাস, সারণ, পটনা, বৈশালী, মুজফ্ফরপুর, সমস্তিপুর, গোপালগঞ্জ এবং আরওয়ালে জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জিতিয়া চলাকালীন।ঔরঙ্গাবাদে ১০, কৈমুরে ৭, সারণে ৫, পটনায় ৫, মোতিহারীতে ৫, ওয়েস্ট চম্পারণে ৩, রোহতাসে ৩, বৈগুসরায়ইয়ে ২ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর।