মুজফ্ফরপুর: অবিশ্বাস্য ঘটনা ! অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে যাওয়ার বদলে সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই চলত বিদেশি মদের চোরাচালান। বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলা থেকে এমনই একটি অ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত (Bihar News) হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিদেশি মদ। গাড়িভর্তি চল্লিশটি কার্টন ছিল বিদেশি মদের। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই গাড়ি আটক (Liquor Transport) করে মদের চোরাচালানের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। আধিকারিকদের থেকে জানা গিয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কান্তি থানার অধীনে সাদাতপুর এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। ২০১৬ সাল থেকেই গোটা বিহার জুড়ে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নীতীশ কুমারের সরকারের নির্দেশে গোটা বিহারে মদ্যপান ও মদ বিক্রির উপরে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই নিষেধের গণ্ডি পেরিয়েও চলছিল অবাধ মদের চালান। আবগারি ইনস্পেক্টর দীপক কুমার জানিয়েছেন, গুপ্তচর মারফত এই মদের চোরাচালানের খবর আসে তাদের কাছে। জানা যায় এভাবে অ্যাম্বুলেন্সে অন্য এক জায়গা থেকে বিহারে মদ আনা হচ্ছে। আরও তদন্ত করে দীপক কুমার জানান যে এই মদের বোতলগুলি আনা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে।
তিনি জানান, 'তথ্য আসা মাত্র সাদাতপুরে তল্লাশি শুরু হয়, ধরপাকড় চলে। আর তারপরেই একটি অ্যাম্বুলেন্সের ছাদে তৈরি করা গোপন কুঠুরির মধ্যে থেকে ৪০টি কার্টন ভর্তি বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এই মদগুলিই অন্যত্র থেকে চালান হয়ে আসছিল বিহারে।'
জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় আবগারি ইনস্পেক্টর দীপক কুমার জানিয়েছেন, 'সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক জানান এই ডেলিভারি বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই করার কথা ছিল। এর আগেও একইভাবে শিলিগুড়ি থেকে বিহারে বিদেশি মদ চালান করা হত অ্যাম্বুলেন্সে'। বিহারের সেই জেলায় দুজন মদ ব্যবসায়ীর নামও উল্লেখ করেন সেই চালক। তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে বলেই জানান দীপক কুমার।
গুজরাত এবং বিহারের মত মধ্যপ্রদেশেও কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ১৭টি বিশিষ্ট ধর্মীয় স্থানে মদ বিক্রি ও পানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যে ধর্মীয় স্থানগুলিতে মদ নিষিদ্ধ করা হবে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে- উজ্জানের মহাকালেশ্বর, ওরছা (রাজা রামের মন্দির, অমরকন্টক (নর্মদা নদীর তীরে), সাতনা জেলার চিত্রকুট ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থান। ১ এপ্রিল থেকেই এই নীতি কার্যকর হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ৫০টি স্থায়ী মদের দোকান এবং আবগারি রাজস্ব হিসেবে ৪৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত হারাবে রাজ্য।