নয়া দিল্লি: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নভেম্বরে ২ দফায় বিহার বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ৬, ১১ নভেম্বর বিহারে ২৪৩টি আসনে ভোট হবে। বিহার বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর। বিহার বিধানসভা ভোটে ৭ কোটি ৪২ লক্ষ ভোটার। বিহারে প্রথম দফায় ১২১, দ্বিতীয় দফায় ১২২টি আসনে ভোট।
রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২১টিতে প্রথম ধাপে এবং বাকিগুলোতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। বিহার নির্বাচন হবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জনতা দল ইউনাইটেডের নেতৃত্বাধীন জোট এবং কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোটবন্ধনের মধ্যে লড়াই।
প্রথম দফায় মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১০ অক্টোবর থেকে, মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর, মনোনয়ন প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২০ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৩ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর, মনোনয়ন প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২৩ অক্টোবর।
এদিকে, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসে বিহারে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ। মঙ্গলবার যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে ৭ কোটি ৪২ লক্ষের। অর্থাৎ বাদ পড়ল ৪৭ লক্ষ ভোটারের নাম। এর পাশাপাশি নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পাশাপাশি বিহারে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআরের ভূয়সী প্রশংসা করেন কমিশনার।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বুথ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য পরিচয়পত্র, পোলিং স্টেশনের বাইরে মোবাইল ফোন জমা রাখার ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ ওয়েবকাস্টিং চালু করার ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে বিহার দেশের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে, যেখানে প্রতিটি পোলিং স্টেশনে এখন ১২০০-এর কম ভোটার থাকবেন। এর উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং লাইনের দৈর্ঘ্য কমানো।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভাগলপুর, পাটনা, পূর্ব চম্পারন, মধুবনী, গোপালগঞ্জ, সরনের মতো ছয় জেলায় গতবার এনডিএর সঙ্গে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটের জোরদার লড়াই হয়েছিল। ছয় জেলার ৫৯ আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৩৪। মহাজোট ২৫। এসআইআরের ফলে এবার বিহারে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় রবিবার সমালোচনায় সরব হল কংগ্রেস।