নয়াদিল্লি: যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ভ্যাকসিনের চাহিদা। সারা দেশেই ছবিটা এক। বর্তমানে ভারতে কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর কোভ্যাকসিনের পর এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে ভ্যাকসিন বানাচ্ছে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। কর্বেভ্যাক্স নামে ওই ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেলেই তা হবে দেশের বাজারে সবথেকে সস্তা টিকা।


জানা গিয়েছে, কর্বেভ্যাক্সের দুটি ডোজের দাম হতে পারে ৪০০ টাকারও কম। যা বর্তমানে যেসব ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে তার থেকে অনেক কম দাম। সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ রাজ্য সরকারের জন্য দাম ৩০০ টাকা, বেসরকারি হাসপাতালের জন্য দাম ৬০০ টাকা। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের প্রতি ডোজ কোভ্যাকসিন রাজ্য সরকারের জন্য দাম ৪০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য এই দাম ১২০০ টাকা। প্রতি ডোজ স্পুটনিক ভি-এর দাম ৯৯৫ টাকা।


গত বছর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। শুরু হয়ে গিয়েছে টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ বুক করেছে কেন্দ্র। তার জন্য অগ্রিমও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর নিয়ামক সংস্থার ছাড়পত্র পেলেই অগাস্ট থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করবে সংস্থা। সেক্ষেত্রে চলতি বছর ডিসেম্বরে দেশের বাজারে চলে আসবে টিকার ৩০ কোটি ডোজ।


দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার ছবি স্পষ্ট। ভ্যাকসিন না মেলায় দিকে দিকে হয়রানির অভিযোগ। দেশের সবচেয়ে পুরনো বেসরকারি বায়োলজি ফার্মগুলির একটি হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। ভারত বায়োটেকের পর এই সংস্থার উপর ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোভ্যাকসিনের পর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিন কর্বেভ্যাক্স। নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে তো বটেই তার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের দাম নিয়েও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন অনেকেই।