সিমলা: করোনা আবহে এবার পরিযায়ী পাখির মৃত্যু। আর তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরের রাজ্যে। হিমাচল প্রদেশের কাঙরা জেলার পোঙ ড্য়াম থেকে ১৪০০ পরিযায়ী পাখির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর তাই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জলাধারগুলিতে পর্যটকদের যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বনদফতরের পক্ষ থেকে মৃতদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ভোপলের অ্যানিম্যাল ডিজিজ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে প্রথম পাখির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রায় ৪২১ পরিযায়ী পাখি উদ্ধার করা হয় মাঝহার, বাথারি, সিহাল, জাহনলি, চাট্টা, ধামেতা, কুঠেরা অঞ্চল থেকে। কাংরা ডেপুটি কমিশনার তথা জেলা শাসক রাকেশ কুমার প্রজাপতি বলেন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও পর্যটক বা ব্যাবসার কাজ করা যাবে না। পরবর্তী নোটিশ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। অঞ্চলের আশেপাশের ৯ কিলোমিটারের মধ্যে কড়া নজরদারি চালানো হবে। এখনও জানা যায়নি মৃত্যুর সঠিক কারণ। কোনও রোগ হয়েও থাকলে তা থেকে সংক্রংমণ যাতে না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জলাধারে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বন দফতরের প্রধান সংরক্ষক অর্চনা শর্মা বলেন, মৃত পাখিদের মধ্যে বার-হেডেড গুস। সাধারণভাবে যাকে আমরা হাঁস বলে জানি। আর কোনও জেলায় পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু হয়েছে কি না তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। পাখিদের মৃ্ত্যুর বিষয়ে তিনি আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর মধ্যে দেশের একাধিক রাজ্যে ব্লাড ফ্লুয়ের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১০০ কাকের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫২টি কাকের মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানে। শুধু মধ্যপ্রদেশ বা রাজস্থানই নয়, গুজরাত, কেরল, হিমাচল প্রদেশেও ব্লাড ফ্লুয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর সঙ্গে ব্লাড-ফ্লুয়ের যোগ আছে কি না তা এখনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।