আজ বিজেপির অস্থায়ী সভাপতি জেপি নড্ডা বলেন, গতকাল সংসদে প্রজ্ঞা যা বলেছেন, সেটা নিন্দনীয়। বিজেপি কখনই এমন বক্তব্য বা আদর্শ অনুমোদন করে না। আমরা ঠিক করেছি, প্রজ্ঞাকে প্রতিরক্ষা বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং বর্তমান অধিবেশনে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকেও যোগ দিতে দেওয়া হবে না তাঁকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও বলেন, গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে তুলে ধরে, এমন আদর্শ অনুমোদন করে না বিজেপি। কেউ গডসেকে দেশভক্ত মনে করলে আমাদের দল তার নিন্দা করে। মহাত্মা গাঁধী আমাদের কাছে আদর্শ, আমাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন, থাকবেনও।
গতকাল সংসদে বিতর্ক চলাকালে প্রজ্ঞার মন্তব্য নিয়ে আজ প্রবল আপত্তি জানায় কংগ্রেস। লোকসভায় মুলতুবি নোটিস দেয় তারা। দলনেতা অধীর চৌধুরি বলেন, যে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন, সেই কংগ্রেসকে সন্ত্রাসবাদী দল বলেছেন (বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর)। মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারীকে ‘দেশভক্ত’ বলা হচ্ছে। কী হচ্ছে এসব? এই সভা কি এ ব্যাপারে চুপ করে থাকবে?
যদিও স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, উনি (প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর) যা বলেছেন, তা সভার রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রেকর্ডেই না থাকলে তা নিয়ে আর কী বিতর্ক হবে?
প্রজ্ঞা অবশ্য চাপের মুখে দাবি করেছেন, গডসেকে সম্পর্কে তাঁর ওই মন্তব্যে তাঁকে ভুল উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি আসলে স্বাধীনতা সংগ্রামী উধম সিংহের কথা বলতে চেয়েছিলেন।
কেন তিনি মহাত্মা গাঁধীকে হত্যা করেছিলেন, সে ব্যাপারে গতকাল ডিএমকে সদস্য এ রাজা গডসের এক বিবৃতির উল্লেখ করলে তাঁকে বাধা দিয়ে প্রজ্ঞা বলেন, একজন দেশভক্তের দৃষ্টান্ত আপনি দিতে পারেন না! এর তীব্র নিন্দা করেন বিরোধীরা।
অতীতে গডসে সম্পর্কে প্রজ্ঞার মন্তব্যের নিন্দা করে এজন্য তাঁকে কখনও ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।