নিউ দিল্লি : পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। যদিও ভোটে তিনি পরাজিত হন। এর পর আজ বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভায় পুনরায় মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।


সাংসদ পদে তাঁর মেয়াদ থাকবে ২০২২-এর ২৪ মে পর্যন্ত। আগের সাংসদ পদের মেয়াদই পূর্ণ করবেন স্বপন দাশগুপ্ত। এবারের বিধানসভা ভোটে তারকেশ্বরের দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে প্রার্থী করে বিজেপি। এর পরই ট্যুইটে তাঁর সাংসদপদ বাতিলের দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।


কৃষ্ণনগরের সাংসদ দাবি জানান, সংবিধানের দশম তফসিলে উল্লেখ আছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য, শপথগ্রহণের ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সাংসদপদ বাতিল হয়ে যায়।  স্বপন দাশগুপ্ত ২০১৬-র এপ্রিলে শপথ নেন। এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর রাজ্যসভার সাংসদপদ বাতিলের দাবি তোলেন মহুয়া।  


ভোটের আগে রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দেন স্বপন। তারকেশ্বর থেকে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পেয়ে তিনি বলেন, 'দল যে দায়িত্ব দেবে সেই দায়িত্ব পালন করব। তারকেশ্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারার সুযোগ আমার কাছে সৌভাগ্য। এতদিন পরে বাংলায় আমরা একটা আসল পরিবর্তনের দিশা রাখতে পেরেছি।' যদিও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। তৃণমূল প্রার্থী রমেন্দু সিনহারায়ের কাছে ৭ হাজার ৪৮৪ ভোটের ব্যবধানে হারেন তিনি। এরপর ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন স্বপন।


আজই প্রখ্যাত আইনজীবী মহেশ জেঠমালানিকে মনোনীত করে কেন্দ্রীয় সরকার। পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, জেঠমালানিকে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হল। রঘুনাথ মহাপাত্রর মৃত্যুর পর ওই আসনটি ফাঁকা পড়েছিল। সেই স্থানে জেঠমালানি অবশিষ্ট সময়ের জন্য থাকবেন।


উল্লেখ্য, সরকারের উপদেশমতো সংসদের উচ্চকক্ষে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি। এই মনোনীত ব্যক্তিদের সাহিত্য, বিজ্ঞান, ক্রীড়া. কলা ও সমাজ সেবার মতো জগৎ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।