অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দশরথ তিরকের বিরুদ্ধে মিছিল করলেন বিজেপি কর্মীরা। আজ আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে দু’জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাবি, তাঁদের দলে দশরথ তিরকের যোগদান তাঁরা মানছেন না।


আজ মেদিনীপুর কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় অন্যদের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান দশরথ তিরকে।  আর এর পরই দশরথকে দলে নেওয়ার বিরুদ্ধে মিছিল জেলায় করলেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে মিছিল হয় আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম বিধানসভার কামাখ্যাগুড়ি ও বারোবিষায়। কামাখ্যাগুড়ির ২ নং অঞ্চল প্রমুখ রতন সরকার বলেছেন, তৃণমূল নেতা দশরথ তিরকের যোগদান মেনে নিতে পারছি না। দীর্ঘদিন ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি।  দশরথের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন সন্ত্রাস হচ্ছে। তাই রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করছি।

অন্যদিকে, তৃণমূল দাবি করেছে, দশরথের দলবদলের প্রভাব পড়বে না। আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেছেন, বহু মানুষ দিল্লি, কলকাতায় যায়। কে কোথায় যাবে, না যাবে, সেটা তাদের ব্যাপার।  আমাকে বলে কেউ যায়নি। তারাই ভাল বলতে পারবে। এর কোনও প্রভাব পড়বে না দলে।  বাংলার সমস্ত মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে।

দশরথ তিরকে আগে কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের  আরএসপির বিধায়ক ছিলেন। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৪-য় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন বিজেপির জন বার্লার কাছে। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা জোরালো হতে প্রতিবাদ করেন বাবুল সুপ্রিয়, অগ্নিমিত্রা পাল, সায়ন্তন বসুরা। শেষমেশ ভোল বদলে জিতেন্দ্র আবার তৃণমূলেই থাকার কথা জানান।

দলবদলের পর দশরথকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের এই ক্ষোভ সামাল দেওয়াই জেলা নেতৃত্বের কাছে চ্যালেঞ্জ।