নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ( Narendra Modi ) নিশানা করার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করে না বিরোধীরা। সমালোচনার জন্য নানা অস্ত্রে শান দেয় সব বিরোধী দলগুলি। এবার তাদের কড়া জবাব দিতে অ্যানিমেশনের সাহায্য নিল গেরুয়া শিবির। বিজেপি ( BJP ) একটি অ্যানিমেশন ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে ২০০৭ থেকে আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির জীবনকথা তুলে ধরেছে। চিত্রিত করা হয়েছে তাঁর নেতৃত্বের কথা। চার মিনিটের ভিডিওতে, ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বড় সাফল্য প্রদর্শন করেছে। বিরোধীরা নানা সময় প্রধানমন্ত্রীকে "মৌত কা সওদাগর", "গৌতম দাস", "চায়ওয়ালা" ইত্যদি বলে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই সব উপেক্ষা করে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।
২০০৭ এ তিনি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, তখন থেকে দেখানো হয়েছে এই ভিডিও। অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক রাজ্যের শাসকদলের প্রধান থেকে কীভাবে তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলের দিকে দৃঢ় পায়ে এগিয়েছেন। ভিডিওটি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির আসীন হওয়ার সময়টি তুলে ধরেছে।
ভিডিওতে, দেখা যায় নরেন্দ্র মোদি সমস্ত আক্রমণ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী পদের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন । তখন তাকে "চায়ওয়ালা" বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। মোদিকে যখন বিজেপি লোকসভা ভোটে প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরে, তখন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী তাঁর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি তাঁকে "মৌত কা সওদাগর" বলেছিলেন।
মোদি যখন ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তাঁকে শুভেচ্ছে জানান তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট । বারাক ওবামাকেও চিত্রিত করা হয়েছে ওই অ্যানিমেটেড ভিডিওয়। তিনি তাঁকে মার্কিন মুলুকে আমন্ত্রণ জানান।
ভিডিওটিতে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু কাজও তুলে ধরা য়েছে যেমন 'স্বচ্ছ ভারত মিশন', 'প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা', 'উজ্জ্বলা যোজনা', 'জন ধন যোজনা', 'জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা', 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা' ' এবং 'ফসল বীমা যোজনা'। ভিডিওতে,দেথা গিয়েছে কীভাবে ২০১৯ সালের আগে রাহুল গান্ধী লাগাতার রাফালে নিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনমত নিয়ে দিল্লির মসনদে এসেছে বিজেপিই।
ভিডিও ক্লিপের শেষ অংশে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে 'গৌতম দাস', , 'নীচ', 'তেলাপোকা', 'রাবন'-এর ভাষা প্রয়োগ করে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু তিনি প্রভাবিত হননি। ভারতের একতার লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে দিয়েছেন মোদি, এমনটাই দাবি ওই ভিডিওতে।