কলকাতা: করোনায় মৃত্যুমিছিল থামছে না। এরই মধ্যেই দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। সেই তালিকার বাইরে নেই বাংলাও। স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছেন। সন্দেহভাজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিতদের তালিকায় রয়েছেন আরও ৮ জন।
শহরে আরও এক মিউকরমাইকোসিস-আক্রান্তের হদিশ মিলেছে আজ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা-মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁকে বাইপাসের ধারে আরএন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সকরা জানান, ওই ব্যক্তি মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে অসমের এই বাসিন্দার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জেরে তাঁর ডান চোখের ক্ষতি হয়েছে। চিকিৎসা চলছে আরও একজন সন্দেহভাজন রোগীর। যদিও তাঁর রিপোর্ট আসেনি। পাশাপাশি একজনের চিকিৎসা চলছিল কলকাতার আরেক বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউতেও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার SSKM হাসপাতালে মিউকরমাইকোসিসে সংক্রমিত সন্দেহে এক মহিলা ভর্তি রয়েছেন। কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন। শহর ছাড়িয়ে জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালেও মিউকরমাইকোসিসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এক মহিলা। তিনিও করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিলিগুড়ির এই মহিলা কয়েকদিন আগে করোনার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে যান। তারপর চোখে সমস্যা হয়। যা সিমটম তাতে সন্দেহ করা হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছেবাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত দুই রোগী। তাঁদের মধ্যে একজনের এদিন অস্ত্রোপচার করা হয়।
ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ওড়িশা-সহ ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে মহামারী ঘোষণা করেছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মিউকরমাইকোসিসকে notifiable diseases বলে ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ কেউ সংক্রমিত হচ্ছেন কিনা, তা চিহ্নিত করতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই করোনাজয়ীদের শরীরেই বেশি করে হানা দিচ্ছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।